পার্লামেন্টে ছোড়া হলো শূকরের নাড়িভুঁড়ি

যুক্তরাষ্ট্র থেকে শূকরের মাংস আমদানি নীতি শিথিল করা নিয়ে পার্লামেন্টে উত্তপ্ত বিতর্কে জড়িয়েছেন তাইওয়ানের আইনপ্রণেতারা। এই সময় সরকারি দলের আইনপ্রণেতাদের লক্ষ করে শূকরের নাড়িভুঁড়ি ছুড়েছে বিরোধীরা। ঘটেছে হাতাহাতির ঘটনাও। একে বিরক্তিকর প্রতিবাদ আখ্যা দিয়ে যৌক্তিক বিতর্কে ফেরার আহ্বান জানিয়েছে ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি)। উল্লেখ্য, তাইওয়ানের পার্লামেন্টে এ ধরনের সংঘাতের ঘটনা নতুন কিছু নয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।noname

আগামী ১ জানুয়ারি থেকে যুক্তরাষ্ট্রে শূকরের মাংস আমদানির নতুন নীতি গত আগস্টে অনুমোদন করেন তাইওয়ানের প্রধানমন্ত্রী তাসাই ইন-ওয়েন। তবে বিরোধীরা বলছেন, এই নীতিতে নিষিদ্ধ রাসায়নিক র‍্যাক্টোপানিন যুক্ত মাংস আমদানির সুযোগ রাখা হয়েছে। মানুষ ও প্রাণী স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বিবেচনায় চীন, তাইওয়ান ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে নিষিদ্ধ রয়েছে রাসায়নিকটি। তবে বিরোধীদের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে তাইওয়ান সরকার।

শুক্রবার ওই নীতি নিয়ে পার্লামেন্টে আলোচনা শুরু হলে প্রধানমন্ত্রী সু তেসেং-চ্যাংকে প্রশ্ন নেওয়া থেকে বিরত রাখতে তার দিকে ঝুঁড়িভর্তি শূকরের নাড়িভুঁড়ি নিক্ষেপ করতে শুরু করেন প্রধান বিরোধী দল কুয়োমিনটাং (কেএমটি) পার্টির আইনপ্রণেতারা। সামান্য সময়ের জন্য হলেও কেএমটির আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে তীব্র হাতাহাতিতে জড়ান সরকারি জোটভুক্ত দল স্টেটবিল্ডিং পার্টির আইনপ্রণেতা চেন পো-ওয়েই।noname

তাইওয়ানের ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি এই প্রতিবাদকে বিরক্তিকর আখ্যা দিয়ে নিন্দা জানিয়েছে। দলটি বলছে এটি প্রতিবাদের নামে খাবারের অপচয়, যা পার্লামেন্টে দুর্গন্ধ ছড়িয়েছে। বিরোধীদের যৌক্তিক বিতর্কে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছে দলটি।

উল্লেখ্য, পার্লামেন্টের অধিবেশন কক্ষে বেশ কয়েকবার সংঘাত জড়িয়ে পড়ার দুর্নাম রয়েছে তাইওয়ানের। দ্য লেজিসলেটিভ উয়ান নামের এই পার্লামেন্টের কক্ষে বিগত বছরগুলোতে ঘুষোঘুষি, চুল টানাটানি, প্লাস্টিকের বোতল এবং পানির পাত্র ছোড়াছুড়ি হতে দেখা গেছে। বিশেষ করে ২০১৭ সালের জুলাইয়ের এক উত্তপ্ত লড়াইয়ের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। ওই সময় অবকাঠামো ব্যয় বিল নিয়ে বিতর্কের সময় আইনপ্রণেতারা চেয়ার তুলে নিয়ে পরস্পরের প্রতি নিক্ষেপ করেন।