সৌদি-কাতার সফরে ট্রাম্পের উপদেষ্টা কুশনার

সৌদি আরব ও কাতার সফরে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডেনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা ও উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনার। যুক্তরাষ্ট্রের দুই মিত্র দেশের মধ্যকার বিবাদ নিরসনের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে নিজের টিম নিয়ে এ সফরে যাচ্ছেন তিনি। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, এ সপ্তাহেই দুই দেশ সফরের কথা রয়েছে তার।noname

রবিবার ট্রাম্প প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সফরে সৌদি আরবের নিওম শহরে দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস)-এর সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবেন কুশনার। এছাড়া কাতার সফরে দেশটির আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবেন তিনি।

মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম এক্সিওস জানিয়েছে, কুশনার সৌদি ও কাতারি নেতাদের মধ্যকার বিবাদ নিরসন এবং দুই দেশকে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য রাজি করাতে চাইছেন।

২০১৭ সালের ৫ জুন কথিত সন্ত্রাসবাদে সমর্থনের অভিযোগ এনে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসর। তবে সৌদি জোটের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে কাতার। বরং এ অবরোধকে রক্তপাতহীন যুদ্ধ ঘোষণার শামিল বলে মন্তব্য করেছেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মাদ বিন আব্দুররহমান আলে সানি। তার ভাষায়, সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন কয়েকটি আরব দেশ দোহার বিরুদ্ধে প্রকারান্তরে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।

কাতারবিরোধী ওই অবরোধ প্রত্যাহারে ১৩ দফা দাবি তুলে ধরেছিল সৌদি জোট। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল আলজাজিরা টেলিভিশন বন্ধ করে দেওয়া, কাতার থেকে তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি প্রত্যাহার এবং মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা। তবে সৌদি জোটের দাবি প্রত্যাখ্যান করে উল্টো তুরস্কের দিকে আরও বেশি ঝুঁকে পড়ে কাতার। তুরস্কও কাতারের সমর্থনে এগিয়ে আসে। বলা চলে, তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান একাই সৌদি আরবের কাতারবিরোধী অবরোধ ব্যর্থ করে দেন। তবে গত কয়েক মাস থেকেই সৌদি আরব ইঙ্গিত দিচ্ছিল তারা কাতারের সঙ্গে বিবাদ মিটিয়ে ফেলতে আগ্রহী। সূত্র: আলজাজিরা, রয়টার্স।