আরেক শরিক দলের বিজেপি জোট ছাড়ার হুমকি

নতুন চালু করা কৃষি আইন নিয়ে ভারতের ক্ষমতাসীন জোট ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বিজেপি’র একটি শরিক দল। রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টির (আরএলপি) প্রধান ও রাজস্থানের আইনপ্রণেতা হনুমান বেনিয়াল এক টুইট বার্তায় এই হুমকি দিয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে উদ্দেশ্য করে লেখা ওই বার্তায় নতুন আইন বাতিল করে অবিলম্বে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।আরএলপি দলের নেতা হনুমান বেনিওয়াল

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের কৃষিনীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনরত ভারতীয় কৃষকরা কার্যত দিল্লি ঘিরে ফেলেছে। রাজধানীতে ঢোকার যে পাঁচটি প্রধান রাস্তা আছে; তার মধ্যে দুইটি পুরোপুরি এবং একটি আংশিকভাবে বন্ধ করে দিতে হয়েছে। বাকি দুই ঢোকার রাস্তাতেও কৃষক জমায়েত হয়েছে। গত পাঁচদিন ধরে তারা দিল্লিতে আসার চেষ্টা করছে। পুলিশের অবরোধ, লাঠি, কাঁদানে গ্যাস, জলকামান অগ্রাহ্য করে তারা দিল্লির সীমান্তে চলে এসেছে। কৃষকরা বলছে, এই কৃষিনীতি তাদেরকে করপোরেট দাসে রূপান্তরিত করবে।

এমন পরিস্থিতিতে কৃষকদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে টুইট বার্তায় হনুমান বেনিয়াল লিখেছেন, ‘জনাব অমিত শাহ কৃষকদের চলমান আন্দোলনের প্রতি সমর্থনে দেশজুড়ে যে আবেগ তৈরি হয়েছে তার আলোকে সদ্য প্রণয়ন করা কৃষি সংক্রান্ত তিনটি বিল অবিলম্বে বাতিল করা উচিত। স্বামীনাথান কমিশনের সবগুলো সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে আর অবিলম্বে দিল্লিতে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।’

কৃষকদের চলমান দিল্লি চলো আন্দোলনে রাজস্থানের কৃষকদের একটি বিশাল অংশ যোগ দিয়েছে। আর আরএলপি’র ভোটের বড় একটি অংশ আসে কৃষকদের মধ্য থেকে। ফলে কৃষক ইস্যুতে তাদের প্রতি সমর্থন রাখা দলটির প্রধান হনুমান বেনিওয়াল টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘এনডিএ জোটের শরীক আরএলপি কিন্তু এর শক্তির উৎস কৃষক ও জওয়ানেরা। এই বিষয়ে যদি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হয় তাহলে কৃষকদের স্বার্থে এনডিএ জোটে থাকার বিষয়টি নিয়ে আমাদের দ্বিতীয়বার ভাবতে হবে।’

উল্লেখ্য, নতুন এই কৃষি বিল প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়ার পর গত সেপ্টেম্বরেই এনডিএ জোট ছেড়ে দেয় আরেক শরিক দল বিজেপি’র সবচেয়ে মিত্র আকালি দল। আর নতুন করে জোট ছাড়ার হুমকি দেওয়া আরএলপি’র ব্যাপক সমর্থন রয়েছে রাজস্থানের জাট সম্প্রদায়ের মধ্যে। রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাধর ভূমি মালিকানা থাকা এই জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত ১০ থেকে ১৫টি আসন রয়েছে রাজস্থানে। রাজ্যটিতে বিজেপির শরিক হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয় আরএলপি।