খুন হওয়া পরমাণু বিজ্ঞানীর দাফন সম্পন্ন, প্রতিশোধের অঙ্গীকার ইরানের

ইরানের অন্যতম শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদেহর দাফন রাজধানী তেহরানে সম্পন্ন হয়েছে। এই বিজ্ঞানীকে হত্যার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে তেহরান। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠিত জানাজা নামাজে সোমবার কেবলমাত্র বিজ্ঞানীর পরিবারের সদস্য এবং কয়েক জন সামরিক কর্মকর্তা অংশ নেওয়ার সুযোগ পান। প্রতিরক্ষা সদর দফতরে জানাজার পর সমাহিত করতে জাতীয় পতাকায় মোড়া এই বিজ্ঞানীর কফিন নেওয়া হয় তেহরানের উত্তরাঞ্চলের একটি কবরস্থানে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।noname

গত শুক্রবার গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয় ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ও উদ্ভাবনী সংস্থার প্রধান মোহসিন ফাকরিজাদেহকে। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী বলে মনে করে তেহরান। তবে ওই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে ইসরায়েল।

এদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা কাউন্সিলের সেক্রেটারি আলী শামখানি দাবি করেছেন ইসরায়েল ইলেক্ট্রোনিক ডিভাইস ব্যবহার করে এই বিজ্ঞানীকে দূর থেকে হত্যা করেছে। বিজ্ঞানীর দাফন অনুষ্ঠানে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির হাতামি বলেছেন, ‘শত্রুরা জানে আর একজন সেনা সদস্য হিসেবে তাদের জানিয়ে দিতে চাই কোনও অপরাধ, কোনও সন্ত্রাস এবং কোনও নির্লজ্জ কর্মকাণ্ড ইরানের জনগণের জবাব না পেয়ে থাকবে না।’

আমির হাতামি বলেন, ইরানের শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচির জনক হিসেবে ফাকরিজাদেহকে সম্মান করে তার দেশ এবং দেশের জনগণ। তিনি বলেন, ‘ক্রিমিনাল আমেরিকার হাজার হাজার পারমাণবিক অস্ত্র আছে আর জায়নবাদী শাসকদের আছে শত শত। সেগুলো কেন আছে? সেগুলো কী বাড়ির শোভাবর্ধনের জন্য সাজিয়ে রাখা আছে?’

দাফন অনুষ্ঠানে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনির একটি বিবৃতি পড়ে শোনানো হয়। সেই বিবৃতিতেও এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের ব্যক্তিদের নিশ্চিত শাস্তি দেওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।