ইরানের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান সৌদি আরবের

পারমাণবিক বিজ্ঞানী মোহসিন ফাকরিজাদেহ হত্যাকাণ্ড নিয়ে ইরানের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে সৌদি আরব। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে রিয়াদকে জড়ানোর কঠোর সমালোচনা করেছেন সৌদি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আদেল আল জুবায়ের। মঙ্গলবার টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে ইরানের অভিযোগের ব্যাপারে নিজ দেশের অবস্থান তুলে ধরেন তিনি।

আদেল আল জুবায়ের বলেন, ‘ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জারিফ তার দেশের যে কোনও নেতিবাচক ঘটনার জন্য সৌদি আরবকে দোষারোপ করতে মরিয়া হয়ে থাকেন। তিনি কি ইরানের পরবর্তী ভূমিকম্প বা বন্যার জন্যও আমাদের দোষারোপ করেবেন?‌’

এই টুইটের মধ্য দিয়ে মূলত সোমবার ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর করা মন্তব্যের জবাব দিলেন সৌদি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। ইরানি পররাষ্ট্র বলেছিলেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌদি যুবরাজের যে বৈঠক হয়েছে মোহসেন ফাখরিজাদেহ হত্যাকাণ্ডে তার ভূমিকা থাকতে পারে।

ইন্সটাগ্রামে দেওয়া পোস্টে জারিফ বলেন, তাড়াহুড়া করে এই অঞ্চলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর, সৌদি আরবে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক এবং নেতানিয়াহুর বক্তব্য একটি ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দেয়। দুর্ভাগ্যক্রমে শুক্রবারের কাপুরুষোচিত সন্ত্রাসী হামলায় দেশের একজন শীর্ষ নির্বাহীর শাহাদাত বরণের মাধ্যমে এই ষড়যন্ত্রের বাস্তবায়ন ঘটেছে।

মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে ইরানকে শত্রু হিসেবে বিবেচনা করে ইসরায়েল ও সৌদি আরব। এমনকি রিয়াদের মিত্র সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন প্রকাশ্যে এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানালেও এখনও পর্যন্ত সরাসরি কোনও নিন্দা জানায়নি সৌদি আরব। তবে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক প্রশ্নের উত্তরে জাতিসংঘে নিযুক্ত সৌদি দূত বলেছেন, হত্যাকাণ্ডের নীতির প্রতি তার দেশের কোনও সমর্থন নেই।

ইসরায়েলি এবং পশ্চিমা অনেক মিডিয়ায় গত রবিবার সৌদি আরবের নিওম শহরে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মধ্যে গোপন বৈঠকের খবর প্রচারিত হয়। এতে বলা হয় ইরান নিয়ে তাদের দুই দেশের উদ্বেগ নিয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। ফলে ফাখরিজাদেহ হত্যাকাণ্ডে ওই বৈঠকের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। কেননা, ইসরায়েল ও সৌদি আরব দুই দেশই ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা অর্জনের ঘোর বিরোধী। সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর।