সহিংসতায় উস্কানি দিচ্ছেন ট্রাম্প: নির্বাচন কর্মকর্তা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সহিসংতায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের একজন নির্বাচন কর্মকর্তা। গ্যাব্রিয়েল স্টার্লিং নামের এই কর্মকর্তা বলেন, ট্রাম্প নির্বাচনে জালিয়াতির যে অভিযোগ করেছেন তাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট কোনও সহিসংতার দায় তাকেই বহন করতে হবে। বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

গ্যাব্রিয়েল স্টার্লিং বলেন, প্রেসিডেন্টের উচিত তার ভাষা নরম কর। অন্যথায় প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটতে পারে।

ট্রাম্প শিবিরের দাবির মুখে জর্জিয়ায় দ্বিতীয় দফা ভোট পুনর্গণনা করা হচ্ছে। ইতোপূর্বে সেখানে সামান্য ব্যাবধানে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

ট্রাম্প শিবিরের মুখপাত্র টিম মুর্তোফ বলেছেন, তারা শুধু এটি নিশ্চিত করতে চাইছেন যে, সব বৈধ ভোট যেন গণনা করা হয় এবং অবৈধ ভোট যেন গণনা করা না হয়।

তিনি বলেন, কারও হুমকি বা সহিংসতায় যুক্ত হওয়া উচিত নয়। এমন কিছু ঘটে থাকলে আমরা পুরোপুরিভাবে এর নিন্দা জানাই।

এদিকে মঙ্গলবার ট্রাম্পের মিত্র ও দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার বলেছেন, ফল বদলে দেওয়ার মতো কোনও জালিয়াতি নির্বাচনে হয়নি।

তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট যেসব অভিযোগ তুলেছেন, তার সপক্ষে কোনও প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার ভাষায়, ‘এখন পর্যন্ত আমরা এমন জালিয়াতির প্রমাণ দেখতে পাইনি যা নির্বাচনের ফলাফল বদলে দিতে পারে।’

পরাজয় স্বীকার না করা ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য উইলিয়াম বার-এর এমন মন্তব্য একটি বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে।

একদিকে যখন জো বাইডেনের বিজয়ের ফলাফলের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে, তখন পরাজিত হওয়া রাজ্যগুলোয় একের পর এক মামলা করে চলেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনি শিবির।

নির্বাচনে জো বাইডেন পেয়েছেন ৩০৬টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট, যেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ২৩২টি। ভোটের সংখ্যার দিক থেকে ট্রাম্পের চেয়ে ৬২ লাখ ভোট বেশি পেয়েছেন বাইডেন। তবে কোনও তথ্য প্রমাণ ছাড়াই একের পর পর এক ভোট জালিয়াতির অভিযোগ করে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

যখন উইলিয়াম বার-এর এই ঘোষণা এলো, তখনও ট্রাম্প কোনও তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই টুইটারে আবারও ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছেন।

নির্বাচন নিয়ে একটি দাবি করা হয়েছে যে, ভোটিং মেশিনগুলো হ্যাক করে এমনভাবে প্রোগ্রামিং করা হয়েছে যে, সেটি ভোটের ফলাফল পাল্টে জো বাইডেনের পক্ষে নিয়ে গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই দাবি নিয়ে কথা বলেছেন উইলিয়াম বার। তিনি বলেন, বিচার বিভাগ ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ এই দাবির ব্যাপারে তদন্ত করেছে। তারা এখন পর্যন্ত এর সপক্ষে কোনও প্রমাণ খুঁজে পায়নি। সূত্র: বিবিসি।