ফাইজারের টিকার জরুরি ব্যবহার পর্যালোচনা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

মার্কিন ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার ও জার্মান কোম্পানি বায়োএনটেক উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টিকার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে তথ্য পেয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এখন জরুরি ব্যবহারের জন্য টিকাটির সম্ভাব্য তালিকাভুক্তির বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। বুধবার এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ডব্লিউএইচও। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।noname

তালিকাভুক্তির বিষয়টিকে ত্বরান্বিত করতে এরইমধ্যে ফাইজার ও বায়োএনটেক-এর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

একইদিন বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ফাইজার ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেয় যুক্তরাজ্য। আগামী সপ্তাহেই দেশটিতে এর প্রয়োগ শুরুর কথা রয়েছে। ডব্লিউএইচও-এর পক্ষ থেকেও বিষয়টিকে স্বাগত জানানো হয়েছে। সংস্থাটির জরুরি বিষয়ক শীর্ষ বিশেষজ্ঞ মাইক রায়ান বলেন, ‘আমাদের এখানেই থেমে যাওয়া উচিত নয়। আরও তিন থেকে চারটির বেশি টিকা দরকার।’

টিকার উৎপাদন বাড়ানো এবং এর দাম কমানোরও তাগিদ দেন ডব্লিউএইচও-এর এই বিশেষজ্ঞ।

ফাইজার অ্যান্ড বায়োএনটেক বলছে, পরীক্ষা থেকে ভ্যাকসিনটি নিয়ে মারাত্মক কোনও নিরাপত্তা উদ্বেগ দেখা যায়নি। নিরাপত্তার উদ্দেশে যে কোনও ভ্যাকসিন পরীক্ষার মতোই এই ভ্যাকসিনটিও একই সময়ের মধ্যে একই সংখ্যক (প্রায় ৪৫ হাজার) মানুষের ওপর পরীক্ষা করানো হয়েছে।

ভ্যাকসিন কনফিডেন্স প্রজেক্ট-এর পরিচালক প্রফেসর হেইডি লারসন বলেছেন, দক্ষতার মাধ্যমে পরীক্ষার সময় যে পরিমাণ কমিয়ে আনা হয়েছে তা আগে কখনও দেখা যায়নি।

এমআরএনএ-সহ নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারও দ্রুত পরীক্ষা সম্পন্ন করতে ভূমিকা রেখেছে। ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিনও এমআরএনএ প্রযুক্তি ব্যবহার হয়েছে। প্রফেসর লারসন বলেন, ‘নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রক প্রক্রিয়া এখনও রয়েছে। সময়সীমা নির্দিষ্ট করা আছে তবে সেটি সংক্ষিপ্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে।’

স্বাধীন বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন, কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়া থেকে মানুষকে রুখতে ভ্যাকসিনটি ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের জন্য ন্যূনতম ৫০ শতাংশ কার্যকারিতা গ্রহণযোগ্য। ফলে এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা আরও অনেক বেশি।