লিবিয়ায় তৎপর ২০ হাজার বিদেশি যোদ্ধা: জাতিসংঘ

যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়ায় অন্তত ২০ হাজার বিদেশি যোদ্ধা ও ভাড়াটে সেনা তৎপর রয়েছে। বুধবার এ তথ্য দিয়েছে জাতিসংঘ। এ পরিস্থিতিকে মারাত্মক সংকট হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বিশ্ব সংস্থাটির লিবিয়া বিষয়ক দূত স্টেফানি উইলিয়ামস। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

লিবিয়ান পলিটিক্যাল ডায়ালগ ফোরামের এক অনলাইন বৈঠকে অংশ নিয়ে দেশটির বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন স্টেফানি উইলিয়ামস। বিদেশি যোদ্ধাদের এমন উপস্থিতিকে লিবিয়ার সার্বভৌমত্বের মারাত্মক লঙ্ঘন হিসেবে আখ্যায়িত করেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন এই কূটনীতিক।

২০২১ সালের ডিসেম্বরে লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। জাতিসংঘ চাইছে, এ নির্বাচন ও রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে যেন দেশটিকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়।

গত অক্টোবরে স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে স্বাক্ষর করে লিবিয়ার বিবদমান দুই পক্ষ। জেনেভায় পাঁচ দিন আলোচনার পর ওই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ আলোচনায় জাতিসংঘেরও অংশগ্রহণ ছিল।

প্রায় পাঁচ বছর ধরে লিবিয়ায় দুটি সরকার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এদের মধ্যে একটি সরকারকে সমর্থন দিয়েছে জাতিসংঘ ও অন্যান্য দেশ। আরেকটি ফিল্ড মার্শাল হাফতারের নেতৃত্বাধীন। ত্রিপোলির আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে জাতিসংঘ। তুরস্ক, ইতালি ও যুক্তরাজ্য এ সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে। আর হাফতার বাহিনীর সমর্থনে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, রাশিয়া, ফ্রান্স, মিসর ও সৌদি আরব।

চুক্তি অনুযায়ী, পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে সব বিদেশি যোদ্ধাকে সরঞ্জামসহ লিবিয়া ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা ছিল। তবে সেটি যে এখনও বাস্তবায়িত হয়নি, লিবিয়া বিষয়ক জাতিসংঘ দূত স্টেফানি উইলিয়ামসের বক্তব্যে পরিষ্কার।