করোনার ঝুঁকি এড়াতে বিমানকর্মীদের ন্যাপি পরার পরামর্শ চীনের

করোনার ঝুঁকি কমাতে বিমানকর্মীদের ফেলে দেওয়া যায় এমন ন্যাপি পরার সুপারিশ করেছে চীনের বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এর ফলে ফ্লাইটের সময় টয়লেটে যাওয়া এড়ানো সম্ভব হবে।14

বিমান সংস্থাগুলোর জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম বা পিপিই ব্যবহারের যে নতুন নির্দেশাবলী জারি করা হয়েছে, সেখানে বিমানের কেবিন ক্রু-দের ন্যাপি পরার এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বলেছে, বিশেষ করে কোভিড-১৯ এর উচ্চ ঝুঁকির গন্তব্যে যাওয়া চার্টার ফ্লাইটের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ প্রযোজ্য হবে।

দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে বিমান সংস্থা এবং বিমানবন্দরগুলো ফের যাত্রী পরিবহন শুরু করতে বড় ধরনের নানা পরিবর্তন চালু করছে। চীনের বেসামরিক বিমান চলাচল প্রশাসন করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ৪৯ পৃষ্ঠার একটি নতুন নির্দেশিকায় তাদের নানা সুপারিশ ও পরামর্শ প্রকাশ করেছে।

যেসব জায়গায় কোভিড সংক্রমণের হার প্রতি ১০ লাখে ৫০০-এর বেশি সেসব জায়গায় যাত্রী আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে এই সুপারিশ প্রযোজ্য হবে।

এছাড়া কেবিন ক্রু-দের মেডিক্যাল মাস্ক, গ্লাভস, টুপি, চোখে গগলস, শরীর ঢাকা পিপিই এবং জুতা ঢাকার সরঞ্জাম পরতে বলা হয়েছে।

ফ্লাইটের অন্যান্য কর্মীদের বিভিন্ন ধরনের সুরক্ষা সরঞ্জাম ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে তাদের ন্যাপি পরতে হবে না।

করোনা মহামারির একটা বিপর্যয়কর প্রভাব পড়েছে সারা বিশ্বের বিমান চলাচল শিল্পের ওপর। এই ক্ষতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হিমশিম খাচ্ছে বিমান সংস্থাগুলো। তবে পরিষেবা ফের সচল করতে একেক দেশ একেক রকম ব্যবস্থা নিচ্ছে।

কোন কোন দেশ তাদের এয়ারলাইন্সগুলোকে দুই জন যাত্রীর মাঝখানের আসনটি খালি রাখার নির্দেশ দিয়েছে। কোনও কোনও বিমানবন্দরে যাত্রীদের পরীক্ষার ব্যাপারে কড়াকড়ি করা হয়েছে। অনেক এয়ারলাইন্স পুরো বিমানযাত্রায় মাস্কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে দিয়েছে। সূত্র: বিবিসি।