তাইওয়ানের পক্ষে জোরালো ভূমিকা নিন: বাইডেনকে জাপান

তাইওয়ানের পক্ষে জোরালো ভূমিকা নিতে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাপান। শুক্রবার জাপানের প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী ইয়াসুহিদে নাকায়মা এ আহ্বান জানিয়েছেন।12

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের সঙ্গে আলাপকালে এ নিয়ে কথা বলেন ইয়াসুহিদে নাকায়মা। তিনি বলেন, আমাদের আশঙ্কা চীন তার আক্রমণাত্মক অবস্থান হংকং-এর বাইরেও প্রসারিত করবে। আমি মনে করি তাদের পরবর্তী টার্গেটগুলোর একটি হচ্ছে তাইওয়ান; যা নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন।

ট্রাম্পের মেয়াদে তাইওয়ানে উল্লেখযোগ্য মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম রফতানির পরিমাণ করে ওয়াশিংটন। অঞ্চলটির ব্যাপারে জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন নতুন সরকারকেও ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান ইয়াসুহিদে নাকায়মা।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাইওয়ানের সঙ্গে জাপানের সম্পর্কের উন্নয়ন পরিলক্ষিত হয়েছে। বিশেষ করে দুই দেশের মধ্যে বেসরকারি পর্যায়েও সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটেছে।

জাপান প্রকাশ্যে এক চীন নীতির কথা বললেও তাইওয়ানের সঙ্গে কৌশলগত স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি ভাগাভাগি করে টোকিও। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও সামরিক মৈত্রীর দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে জাপানের। অন্যদিকে চীনা আগ্রাসন থেকে সুরক্ষায় তাইওয়ানের জন্য মার্কিন সামরিক সহায়তা তাৎপর্যপূর্ণ।

চীন-তাইওয়ান বিরোধের সূত্রপাত ১৯২৭ সালে। ওই সময়ে চীনজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে গৃহযুদ্ধ। ১৯৪৯ সালে মাও সেতুংয়ের নেতৃত্বাধীন কমিউনিস্ট বিপ্লবীরা জাতীয়তাবাদী সরকারকে উৎখাতের মধ্য দিয়ে এ গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটায়। জাতীয়তাবাদী নেতারা পালিয়ে তাইওয়ান যান। এখনও তারাই তাইওয়ান নিয়ন্ত্রণ করে। প্রাথমিকভাবে ওই সময় যুদ্ধ বন্ধ হয়ে পড়লেও উভয় দেশই নিজেদের চীনের দাবিদার হিসেবে উত্থাপন শুরু করে। তাইওয়ানভিত্তিক সরকার দাবি করে, চীন কমিউনিস্ট বিপ্লবীদের দ্বারা অবৈধভাবে দখল হয়েছে। আর বেইজিংভিত্তিক চীন সরকার তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্নতাকামী প্রদেশ হিসেবে বিবেচনা করে। সূত্র: রয়টার্স।