স্পেন ও কানাডাতেও নতুন করোনাভাইরাস শনাক্ত

দুনিয়াজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে নতুন ধরনের করোনাভাইরাস। যুক্তরাজ্য থেকে ইউরোপ, এশিয়ার পর এবার আমেরিকা মহাদেশেও বিস্তার লাভ করেছে অধিক সংক্রমণ ক্ষমতাসম্পন্ন এই ভাইরাস। কানাডার অন্টারিওতে এক দম্পতির শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। তবে তারা কীভাবে আক্রান্ত হয়েছেন তা জানা যায়নি। তাদের অন্য দেশে ভ্রমণ বা ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের সংস্পর্শে যাওয়ারও ইতিহাস পাওয়া যায়নি। ইউরোপের দেশ স্পেনে প্রথমবারের মতো চার জনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছে।noname

শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে স্পেনে নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে কথা বলেন মাদ্রিদ আঞ্চলিক সরকারের উপ-স্বাস্থ্য প্রধান আন্তোনিও জাপাটারো। তিনি জানান, ভাইরাসটিতে আক্রান্ত চার জনের ক্ষেত্রেই ব্রিটিশ সংযোগ রয়েছে। তারা প্রত্যেকেই সম্প্রতি যুক্তরাজ্য থেকে ফিরেছিলেন।

আন্তোনিও জাপাটারো বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তিরা গুরুতর অসুস্থ নন। আমরা জানি যে এই স্ট্রেনটি অধিক মাত্রায় সংক্রমণযোগ্য। তবে এর ফলে অসুস্থতার মাত্রা আরও গুরুতর হয়ে উঠে না।

সম্প্রতি লন্ডনসহ যুক্তরাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলে করোনাভাইরাসের এই নতুন এবং অত্যন্ত সংক্রামক স্ট্রেইনটি ছড়িয়ে পড়ে। এটি আগের ভাইরাসের চেয়ে আরও বেশি সহজে এবং দ্রুত গতিতে মানুষের মধ্যে ছড়াতে পারে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, এর ফলে আগামী বছর এতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির হার আরও বেড়ে যাতে পারে। বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যাও।

সমীক্ষাটি চালিয়েছে লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিকাল মেডিসিন-এর সেন্টার ফর ম্যাথমেটিক্যাল মডেল অব ইনফেকশাস ডিজিজ। এতে দেখা গেছে, করোনাভাইরাসের অন্যান্য স্ট্রেইনের তুলনায় নতুন এই স্ট্রেইনটি ৫৬ শতাংশ বেশি সংক্রমণযোগ্য।

১৯ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যের প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা প্যাট্রিক ভ্যাল্যান্স বলেছেন, ভাইরাসটির প্রায় দুই ডজন মিউটেশন রয়েছে যা প্রোটিনকে প্রভাবিত করতে পারে।

আশঙ্কা করা হচ্ছে, ভাইরাসটির নতুন এই স্ট্রেইন সদ্য অনুমোদন পাওয়া ভ্যাকসিনগুলোর কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে। তবে ইউরোপের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বলছে, নতুন স্ট্রেইনটির ফলে হয়তো ফাইজার ও বায়োএনটেক-এর টিকার কার্যকারিতায় খুব বেশি হেরফের হবে না।

নতুন রূপে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার জন্য লাখ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলাকেই মূলত দায়ী করা হচ্ছে। সূত্র: বিবিসি, ব্লুমবার্গ।