রফতানির অনুমতি পেতে কয়েক মাস লাগতে পারে: সেরাম ইনস্টিটিউট

ভারতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউট বলছে, তাদের টিকা রফতানির ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে অনুমতি পেতে কয়েক মাস লাগতে পারে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উদ্ধৃত করে এ তথ্য জানিয়েছে।

রবিবার মার্কিন বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, সিরাম ইনস্টিটিউট কর্তৃক ভারতে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনাকার করোনা ভ্যাকসিন রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভারত সরকার। এর ফলে দরিদ্র দেশগুলোর ভ্যাকসিন পেতে আরও কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে। ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা এপিকে বলেন, কয়েক মাসের জন্য ভ্যাকসিন রফতানির অনুমতি দেবে না ভারত। ভারতীয়রা যাতে যথাযথভাবে ভ্যাকসিন পায় সেজন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তবে সোমবার সেরাম ইনস্টিটিউটের জনসংযোগ কর্মকর্তা মায়াঙ্ক সেন দিল্লিতে বিবিসির ইয়োগিতা লিমায়িকে জানিয়েছেন, টিকা রফতানিতে নিষেধাজ্ঞার যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা পুরোপুরি সঠিক নয়। কারণ, তাদের টিকা রফতানির ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে কোম্পানিটি এখন অন্য দেশে টিকা রফতানির অনুমতি পাওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে, যা পেতে কয়েক মাস পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। তবে রফতানি শুরুর আগেই তারা ভারত সরকারকে ১০ কোটি টিকা দেওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। কিন্তু এই মুহূর্তে তারা সেটা করতে পারবে না, যেহেতু তাদের রফতানির অনুমতি নেই।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ আগামী মাসের শুরুতে যে ৫০ লাখ ডোজ টিকা পাবে বলে আশা করা হচ্ছে সেটি এই সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকেই পাওয়ার কথা। প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ হিসেবে পুরো তিন কোটি টিকার জন্য অগ্রিম হিসেবে ৬০০ কোটি টাকা সেরামের অ্যাকাউন্টে রবিবার জমাও দেওয়ার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশের সরকার।