লন্ডনে ১৩শ’‌ মরদেহের ধারণক্ষমতাসম্পন্ন মরচুয়ারি চালু

একাধিক টিকা আবিষ্কৃত হলেও এখনও করোনার ছোবল থেকে মুক্ত নয় বিশ্ব। এরইমধ্যে যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়া নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনা দুনিয়াজুড়ে আতঙ্কের জন্ম দিয়েছে। বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের পরিসংখ্যান। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পশ্চিম লন্ডনের রুইস্লিপে অস্থায়ীভিত্তিতে একটি মরচুয়ারি চালু করা হয়েছে। এতে একসঙ্গে এক হাজার ৩০০ মরদেহ রাখা সম্ভব। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটার-এর হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত ৩২ লাখ ৬০ হাজার ২৫৮ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৮৬ হাজার ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে এরইমধ্যে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। এ পরিসংখ্যান হৃদয়বিদারক বলে মন্তব্য করেছেন লন্ডনের মেয়র সাদিক খান।

করোনাভাইরাসের প্রথম ঢেউয়ের সময়েই লন্ডনে চারটি অস্থায়ী মরচুয়ারি সাইট স্থাপন করা হয়েছিল। এখন নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই রুইস্লিপে অস্থায়ীভিত্তিতে ১৩শ’ মরদেহ রাখার ক্ষমতাসম্পন্ন এ মরচুয়ারি চালু করা হলো।

ওয়েস্টমিনস্টার সিটি কাউন্সিলের প্রধান নির্বাহী স্টুয়ার্ট লাভ বলেন, আমরা মানুষকে আশা দিতে চাই। তবে এখনও আমরা সেখানে পৌঁছাতে পারিনি।

তিনি বলেন, আমার অভিমত হচ্ছে আমরা এটা তৈরি করেছি ঠিকই কিন্তু আমাদের প্রত্যাশা এর ধারণক্ষমতা পূর্ণ হবে না।

স্টুয়ার্ট লাভ বলেন, শুধু বাড়িতে থাকা এবং প্রিয়জনদের দেখাশোনা করার বার্তাটির প্রতিই আমি পুনরায় জোর দিতে চাই।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। এক পর্যায়ে উৎপত্তিস্থল চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশে এর প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তবে আশার কথা হচ্ছে, এখন আক্রান্তের পর সুস্থ হওয়ার হার দ্রুত বাড়ছে। এরইমধ্যে করোনার টিকাও আবিষ্কৃত হয়েছে।