এবছরও অস্ট্রেলিয়ার সীমান্ত বন্ধ রাখার ইঙ্গিত

দেশের বেশিরভাগ মানুষকে করোনাভাইরাসের টিকা প্রয়োগ করতে পারলেও এই বছর আন্তর্জাতিক সীমান্ত পুরোপুরি খোলা হবে না বলে ইঙ্গিত দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। সোমবার দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান ব্রেন্ডান মরফি বলেন, বহু মানুষ যদি গ্রহণ করেও, তাহলে তাতে ভাইরাসটির সংক্রমণ বন্ধ হবে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

মার্কিন প্রতিষ্ঠান ফাইজারের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণের পর নরওয়েতে কয়েক জন মানুষের মৃত্যুর পর টিকাটির সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খতিয়ে দেখা শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়া। আগামী মাস থেকে দেশটিতে টিকা দান কর্মসূচি শুরুর কথা রয়েছে। সুনির্দিষ্ট এলাকায় লকডাউন, ব্যাপক পরীক্ষা এবং যোগাযোগ শনাক্তের মাধ্যমে দেশটি দুনিয়ার অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে ভালোভাবে মহামারি সামাল দিয়েছে। সোমবারও দেশটিতে স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত হওয়া একজনকেও শনাক্ত করা যায়নি।

তবে ভিক্টোরিয়া অঙ্গরাজ্যে অনুষ্ঠিত হওয়া অস্ট্রেলিয়ান ওপেন টেনিস টুর্নামেন্ট সংশ্লিষ্ট চার জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তারা সবাই বিদেশে ভ্রমণকারী। এ নিয়ে টুর্নামেন্ট সংশ্লিষ্ট মোট নয় জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনাভাইরাস ঠেকানোর নিয়মকানুন কঠোরভাবে অনুসরনের মধ্য দিয়ে এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, মহামারি শুরু থেকে এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত হওয়া ২২ হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৯০৯ জনের।