ব্যাননকেও ক্ষমা করলেন ট্রাম্প

দায়িত্ব ছাড়ার কয়েক ঘণ্টা আগে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সাবেক সহযোগী স্টিভ ব্যাননকেও প্রেসিডেন্টের ক্ষমতায় ক্ষমা করে দিলেন। হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে বলেছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ওই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে মঙ্গলবার তার সঙ্গে টেলিফোনে কথাও বলেন ব্যানন।

যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের তহবিল সংগ্রহের জন্য চালানো এক প্রচারাভিযানে দাতাদের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ নেওয়ার অভিযোগে হোয়াইট হাউজের সাবেক চিফ স্ট্র্যাটেজিস্ট ব্যাননের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। গত অগাস্টে ব্যাননকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার করার পর তার বিরুদ্ধে ম্যানহটনের আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়।

অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে মেক্সিকো সীমান্তে ট্রাম্পের প্রতিশ্রুত দেয়াল নির্মাণের নামে ‘উই বিল্ড দ্য ওয়াল’ শীর্ষক ওই প্রচারে অর্থ উঠেছিল ২ কোটি ৫০ লাখ ডলার। আর ব্যানন দাতাদের কাছ থেকে পেয়েছিলেন ১০ লাখ ডলারেরও বেশি। মামলায় অভিযোগ করা হয়, এই তহবিলের কিছু অংশ তিনি ব্যক্তিগত কাজেও ব্যবহার করেছিলেন। তার সঙ্গে এ মামলায় আসামি হিসেবে আছেন আরও তিনজন।

ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের মধ্যে যাদের বিভিন্ন অভিযোগে সাজা হয়েছিল, তাদের অনেককেই মেয়াদের শেষ বেলায় এসে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতায় ক্ষমা করে দিয়েছেন ট্রাম্প।

নিউ ইয়র্ক টাইমস বলছে, ব্যাননকে ক্ষমা করার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ এ কারণে যে, তার মামলায় এখনও বিচার শুরুই হয়নি, কেবল অভিযোগ গঠন হয়েছে। এখন ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেও ব্যানন অভিযোগ ও শাস্তি থেকে রেহাই পেয়ে যাবেন।

প্রেসিডেন্ট কাদের ক্ষমা করেছেন, সেই তালিকা মঙ্গলবারই হোয়াইট হাউজ থেকে প্রকাশ করার কথা ছিল। তবে ব্যাননের বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ায় তা বিলম্বিত হয়।

গত নির্বাচনের ফল মেনে না নিতে প্রকাশ্যেই ট্রাম্পকে উৎসাহ দেওয়া ব্যানন নিজে ফোন করে ক্ষমার আবেদন অনুমোদনের জন্য কথা বলেছেন এবং তার বন্ধুরাও এ বিষয়ে প্রেসিডেন্টকে একভাবে চাপে রেখেছিলেন। অন্যদিকে আরেকটি পক্ষ ট্রাম্পকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন যে ব্যাননের ক্ষেত্রে এটা করা তার ঠিক হবে না।