ইন্দোনেশিয়ার জলসীমায় ইরানি ট্যাংকার আটক

ইন্দোনেশিয়ার জলসীমায় ‘অবৈধ জ্বালানি’ সরবরাহ করা হচ্ছে সন্দেহে ইরানের পতাকাবাহী এমটি হর্স ও পানামার পতাকাবাহী এমটি ফ্রেয়া নামের দুটি জলযান আটক করা হয়েছে। রবিবার ইন্দোনেশীয় কোস্টগার্ডের বিবৃতির সূত্রে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। জাহাজ আটকের এই ঘটনা নিয়ে ইরান কোনও মন্তব্য করেনি।

কোস্টগার্ডের মুখপাত্র বিষ্ণু প্রামানদিতা জানিয়েছেন, কালিমান্তান প্রদেশের উপকূল থেকে ট্যাংকার দুটি আটক করার পর আরও তদন্তের জন্য এগুলোকে কড়া প্রহরায় রিয়াউ দ্বীপ প্রদেশের বাটাম দ্বীপে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতার জন্য জাহাজগুলোতে ট্রান্সপন্ডার (রেডিও সিগন্যাল গ্রহণ ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাঠানোর জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র) ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক করেছে আন্তর্জাতিক মেরিটাইম সংস্থা। জলদস্যুদের আক্রমণের মতো কোনও বিপদের আশঙ্কা থাকলে ক্রু-রা এসব যন্ত্র বন্ধ করে রাখতে পারেন। কিন্তু অবৈধ তৎপরতা চালানোর সময় জাহাজের অবস্থান গোপন করার উদ্দেশ্যে প্রায়ই এসব যন্ত্র বন্ধ করে রাখা হয়।

ইন্দোনেশীয় কোস্টগার্ডের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৫টায় ট্যাংকার দুটি শনাক্ত হয়। জাতীয় পতাকা প্রদর্শন না করে, স্বয়ংক্রিয় শনাক্তকরণ পদ্ধতি বন্ধ রেখে ও রেডিও কলে সাড়া না দিয়ে তারা তাদের পরিচয় গোপন করে রেখেছিল।

ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা তাদের বিক্রয় করা তেলের গন্তব্য গোপন করতে নিজেদের ট্যাংকারগুলোর ট্র্যাকিং সিস্টেম অকার্যকর করে রাখে, এতে তেহরান কী পরিমাণ অপরিশোধিত তেল রফতানি করছে তার হিসাব বের করা কঠিন হয়ে যায়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রতিরোধ করতে গিয়েই দেশটি এমন পদক্ষেপ নিয়ে থাকে।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে ওয়াশিংটনকে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের ২০১৫ সালে হওয়া পারমাণবিক চুক্তি থেকে সরিয়ে নেন। এরপর ফের ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তেহরানের তেল রফতানি শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নেন। গত বছর এমটি হর্স জাহাজটিকে ২১ লাখ ব্যারেল তেলসহ ভেনেজুয়েলায় পাঠিয়েছিল ইরান।