নিউ জিল্যান্ডে শনাক্ত হওয়া ব্যক্তি দক্ষিণ আফ্রিকার স্ট্রেইনে আক্রান্ত

নিউ জিল্যান্ডে কোয়ারেন্টিন ফ্যাসিলিটির বাইরে শনাক্ত হওয়া রোগী দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সোমবার (২৫ জানুয়ারি) দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্সকে উদ্ধৃত করে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, কোয়ারেন্টিন ফ্যাসিলিটি ছাড়ার আগে বিদেশ থেকে ফেরা অন্য কোনও যাত্রীর মাধ্যমেই সম্ভবত ৫৬ বছর বয়সী ওই নারী আক্রান্ত হয়েছেন।

নিউ জিল্যান্ডের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন করে শনাক্ত হওয়া ওই নারী সম্প্রতি ইউরোপ থেকে ফিরেছেন। অকল্যান্ডের একটি ফ্যাসিলিটিতে বাধ্যতামূলকভাবে দুই সপ্তাহের আইসোলেশন শেষ করার পর গত ১৩ জানুয়ারি সেখান থেকে বিদায় নেন তিনি। ১০ দিন পর তার শরীরে ভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়েছে। কিভাবে তিনি সংক্রমিত হলেন তা জানার চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ। ওই নারী যেসব এলাকা ভ্রমণ করেছেন তার তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে।

কোয়ারেন্টিন ফ্যাসিলিটি ছাড়ার আগে ওই নারীর দুইবার করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল এবং প্রত্যেকবারই ফল নেগেটিভ আসে। দুইদিন পর তার শরীরে মৃদু উপসর্গ দেখা দেয়। এরপর ধীরে ধীরে অবস্থার অবনতি হয়। শনিবার (২৩ জানুয়ারি) করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে। তিনি এখন তার বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন। রবিবার নিউ জিল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ‘সংক্রমণের উস কী এবং তিনি করোনার কোন স্ট্রেইন দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে’ তা এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে একে দ্রুত গতির স্ট্রেইন হিসেবে ধরে নিয়ে প্রয়োজনীয় পূর্বসতর্কতা নিচ্ছে মন্ত্রণালয়। আর তার একদিন পর সোমবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানালেন দক্ষিণ আফ্রিকায় ছড়িয়ে পড়া নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন সে নারী।

অবশ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্টটি দ্রুত গতিতে করোনা ছড়ালেও তা মারাত্মক রোগ সৃষ্টি কিংবা মৃত্যুহার বাড়ায় বলে স্পষ্ট প্রমাণ মেলেনি।