করোনায় যুক্তরাজ্যে আরও ৭ বাংলাদেশির মৃত্যু

যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিনদিনে নতুন করে আরও সাত বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা সবাই পুরুষ।

লন্ডনের নিউহ্যামের ফরেস্টগেট এলাকার বাসিন্দা প্রবীণ কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব আলহাজ্ব তেরা মিয়া চৌধুরী (সুরুজ মিয়া) করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৭ জানুয়ারী (বুধবার) নিউহ্যাম হাসপাতালে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর বছর। স্থানীয় সময় শনিবার (৩০ জানুয়ারি) ব্রিকলেন মসজিদে জানাজা শেষে তাকে লন্ডনে দাফন করা হবে। তেরা মিয়া চৌধুরীর বাড়ি বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর গ্রামে।

একইদিনে গ্রেটার লন্ডনের গ্রেইসে বসবাসকারী হাজি নানু মিয়াও মারা গেছেন। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৭ জানুয়ারি এসেক্সের বাজিলডন হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৫০ বছর। নানু মিয়ার গ্রামের বাড়ি সিলেট জেলার জগন্নাথপুর পৌরসভার শেরপুর গ্রামে। তার পিতার নাম সুরত আলী। নানু মিয়া জগন্নাথপুরের 'হাজি আব্দুর রশিদ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে'র প্রতিষ্ঠাকালীন সহকারী শিক্ষক ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) করোনায় আক্রান্ত হয়ে লন্ডনে প্রাণ হারান বিয়ানীবাজার উপজেলার কালাইউরা গ্রামের সন্তান মোহাম্মদ খায়ের উদ্দিন ফয়েজ (৪২)। একই দিনে হাজী রহমত উদ্দিন লন্ডনে ইন্তেকাল করেছেন। তার গ্রামের বাড়ী মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ১নং খলিলপুর ইউপির কাটারাই গ্রামে। যুক্তরাজ্য প্রবাসী প্রবীণ কমিউনিটি নেতা শামসুজ্জামান শিবলুও এদিন কেমব্রীজের একটি হাসপাতালে মারা গেছেন। তার গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজারের শাহবন্দর মুন্সিবাড়ি।

এছাড়া করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রবাসী মো: সাজন মিয়া বার্মিংহামের নিজ বাড়িতে মারা গেছেন। তার গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজার সদর উপজেলাধীন সরকার বাজার আলাপুর হাজী বাড়ি। যুক্তরাজ্য প্রবাসী জাসদ নেতা সৈয়দ সাইদ আলীর পিতা সৈয়দ মকদ্দুস আলী নর্দামটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তিনি ওসমানী নগর উপজেলার সৈয়দ মান্দারুখা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।