মিয়ানমারের অভ্যুত্থানকারীদের বিরুদ্ধে প্রথম আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ জাসিন্ডার

নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে সামরিক শাসন জারির প্রতিক্রিয়ায় প্রথম দেশ হিসেবে মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে নিউ জিল্যান্ড। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডার্ন মঙ্গলবার এ ঘোষণা দেন।

রয়টার্স জানিয়েছে, মিয়ানমারের ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নিউ জিল্যান্ড সফরেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সামরিক সরকার সুবিধা পেতে পারে, এমন কোনও সহায়তা কর্মসূচিও বাস্তবায়ন করবে না নিউ জিল্যান্ড।

গত ১ ফেব্রুয়ারি ভোরে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। এদিন অভিযান চালিয়ে রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি এবং ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের আটক করা হয়। দেশজুড়ে ঘোষণা করা হয় এক বছরের জরুরি অবস্থা।

মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কঠোর বার্তা দিতে চাই। বলতে চাই, এই নিউ জিল্যান্ডে বসে যা যা করা সম্ভব, তার সবই আমরা করব। উচ্চ পর্যায়ের সব আলোচনা আমরা স্থগিত করব। এমন কোনও সাহায্য আমরা মিয়ানমারে দেব না, যেটা সামরিক সরকারকে সুবিধা দেবে।”উল্লেখ্য, ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মিয়ানমারকে ৪ কোটি ২০ লাখ ডলারের সহায়তা দিয়েছে দেশটি।

নিউ জিল্যান্ড সু চিসহ সকল রাজবন্দিদের মুক্তি দিয়ে বেসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী নানাইয়া মাহুতা এক বিবৃতিতে বলেছেন, তার সরকার মিয়ানমারের সেনা নেতৃত্বের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে।