টিকা নিলেন প্রধানমন্ত্রী, প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া

অস্ট্রেলিয়ায় করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে এই সপ্তাহে। এই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এবং মানুষের মনে আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলতে রবিবার নিজেই সরাসরি টেলিভিশন সম্প্রচারে টিকা নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। সোমবার থেকে দেশটিতে ব্যাপক আকারে টিকাদান শুরুর কথা রয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে অন্তত ৬০ হাজার ডোজ টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে টিকাদান শুরুর প্রতিবাদে গত শনিবার দেশটিতে টিকাবিরোধী ছোট বিক্ষোভও হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

মহামারির শুরু থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ২৮ হাজার ৯২০ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে আর মৃত্যু হয়েছে ৯০৯ জনের। অস্ট্রেলিয়ার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে ফাইজারের টিকা দিয়ে। এই সপ্তাহে তা ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে। এছাড়া আগামী মাস থেকে শুরু হবে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ডের উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন।

রবিবার সামনের সারির বেশ কয়েক জন স্বাস্থ্যকর্মী এবং কেয়ার হোমের বাসিন্দাদের সঙ্গে টিকা নেন প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। তার সঙ্গে টিকা নিয়েছেন দেশটির প্রধান নার্স প্রফেসর অ্যালিসন ম্যাকমিলান এবং চিফ মেডিক্যাল অফিসার প্রফেসর পল কেলি।

টিকা নেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, ‘আগামীকাল আমাদের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে, ফলে আজ এর উদ্বোধন করে আমরা গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয় পরিষ্কার করছি; এটা নিরাপদ, গুরুত্বপূর্ণ এবং যারা সামনের কাতারে রয়েছেন তাদের টিকা দেওয়া শুরু করা প্রয়োজন।’ দেশটিতে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে টিকা নেবেন ৮৫ বছর বয়সী জেন মালিসিয়াক।

মার্চ মাসের শুরুর মধ্যে ৪০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে অস্ট্রেলিয়া। অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছেন স্বাস্থ্য খাত, সীমান্ত কর্মী ও কেয়ার হোমের সাত লাখ বাসিন্দা। এরপরই থাকবেন ৭০ বছর বেশি বয়সীরা।

তবে টিকাদানের প্রতিবাদে শনিবার মেলবোর্ন, সিডনি, ব্রিসবেনে ছোট ছোট বিক্ষোভ হয়েছে। মেলবোর্নে কয়েক জন বিক্ষোভকারী পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। পুলিশ পিপার স্প্রে প্রয়োগ ছাড়াও কয়েকজনকে গ্রেফতার করে।