খাশোগি হত্যার প্রতিবেদন প্রকাশের আগে বাইডেন-সালমান ফোনালাপের সম্ভাবনা

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার সৌদি আরবের বাদশাহ সালমানকে ফোন করতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংবাদমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, অনুসন্ধানী সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রকাশের আগ মুহূর্তে এই ফোনালাপ হতে যাচ্ছে।

২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচার চলাকালে বাইডেন অভিযোগ করেছিলেন, সৌদির যুবরাজের নির্দেশেই খাসোগি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। পূর্বসূরি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে সৌদির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক যেমনটা ছিল, বাইডেনের সময় ঠিক তেমনটা থাকছে না। এই সম্পর্কে পরিবর্তন আনার কাজ ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।

গত ২০ জানুয়ারি বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন। প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দেশের নেতার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। তবে সৌদি নেতৃত্বের সঙ্গে এখনও কথা হয়নি তার। সম্প্রতি হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে জানান, রাষ্ট্রীয় প্রটোকলে সৌদি আরবে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সমমর্যাদার ব্যক্তি দেশটির বাদশাহ সালমান। তার সঙ্গে যথাসময়ে বাইডেনের কথা হবে। তবে সৌদির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে ফোন করার কোনো পরিকল্পনা বাইডেনের নেই।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও সৌদির বাদশাহর মধ্যে ফোনালাপে দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিকসহ বিভিন্ন ইস্যু আলোচিত হতে পারে। তবে তাদের মধ্যকার ফোনালাপে ছায়া ফেলতে পারে সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রকাশিতব্য মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বিষয়টি। প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালকের দপ্তর। এটি আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা হতে পারে।

২০১৮ সালের অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে নির্মমভাবে খুন হন সাংবাদিক জামাল খাসোগি। তিনি সৌদির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কট্টর সমালোচক ছিলেন। সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে মোহাম্মদ বিন সালমানকে সন্দেহ করা হয়। হত্যার পর পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থার মূল্যায়নেও এই বিষয়টি উঠে আসে। সৌদির যুবরাজ এই হত্যায় তার সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে আসছেন। তবে সৌদির শাসক হিসেবে তিনি এই হত্যার দায় এড়াতে পারেন না বলে স্বীকার করেন।