চাঁদের মাটি নিয়ে চীন-রাশিয়া সমঝোতা

চাঁদের মাটিতে একটি বৈজ্ঞানিক কেন্দ্র তৈরির ব্যাপারে চীনের সঙ্গে সমঝোতা স্মারকে সই করেছে রাশিয়া। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই দেশ একসঙ্গে মিলে পুরো পরিকল্পনা করেছে এবং এর রূপায়ণও একসঙ্গে হবে। রাশিয়া ও চীনের মহাকাশ সংস্থাকে উদ্ধৃত করে মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন এ খবর জানিয়েছে।

চীনা স্পেস এজেন্সির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘একটি ইন্টারন্যাশনাল লুনিয়ার সায়েন্টিফিক রিসার্চ স্টেশন (আইএলআরএস) স্থাপনের রোডম্যাপ তৈরি করতে চীন ও রাশিয়া তাদের মহাকাশবিদ্যার যৌথ অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণ ও উন্নয়নের পাশাপাশি যৌথভাবে মহাকাশ প্রযুক্তি ও সরঞ্জাম ব্যবহার করবে’।

এদিকে রাশিয়ার স্পেস এজেন্সি রসকসমস-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শান্তিপূর্ণ পথে মহাকাশ ব্যবহারের জন্যই তাদের এই যৌথ উদ্যোগ। উৎসাহী সব দেশ ও অংশীদারদের কথা মাথায় রেখেই তারা এই পরিকল্পনা করেছেন।

২০২০ সালের জুলাই মাসে রাশিয়ার মহাকাশ-গবেষণা সংস্থার প্রধান দিমিত্রি রগোজিন চীনের সঙ্গে চাঁদে গবেষণা পরিকল্পনার কথা জানান। সে জন্যই চাঁদে একটি মহাকাশকেন্দ্র তৈরি করতে চান তারা। রগোজিন জানিয়েছিলেন, মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে চীন সম্প্রতি খুবই উন্নতি করেছে। তাই তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চললে রাশিয়া লাভবান হবে।

২০১৪ থেকেই রাশিয়া ও চীন কাছাকাছি এসেছে। সে সময় রাশিয়ার ইউক্রেন দখল করে নেয়ার পর পশ্চিমা দেশগুলির সঙ্গে তাদের সম্পর্ক খারাপ হওয়া শুরু। চীনের সঙ্গেও নানা কারণে অ্যামেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলির সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে। তারপরই চীন ও রাশিয়া নিজেদের মধ্যে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে। জাতিসংঘেও অনেক সময়ই তাদের এই সখ্য নজরে এসেছে।

ফ্রান্স এখন মহাকাশ নিয়ে সামরিক মহড়া শুরু করেছে। তাদের সাহায্য করছে অ্যামেরিকা ও জার্মানি। ফলে মহাকাশ নিয়েও উন্নত দেশগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে চাঁদে চীন ও রাশিয়ার যৌথ মহাকাশকেন্দ্র খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।