মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার সেরা ৩-এ বাংলাদেশি কিশোয়ার

রান্নাবিষয়ক রিয়েলিটি শো ‘মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়া’র সেরা তিনে জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রতিযোগী কিশোয়ার চৌধুরী। এখন পর্যন্ত পুরো প্রতিযোগিতায় একের পর এক চমক দেখিয়ে চলেছেন তিনি।

আগামী ১২ ও ১৩ জুলাই দুই দিনের গ্র্যান্ড ফিনালে পর্বের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে ‘মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়া’র এবারের আয়োজনের। এই গ্র্যান্ড ফিনালেতে বাঙালি খাবার দিয়েই নিজেকে সেরা প্রমাণের চেষ্টা করবেন কিশোয়ার চৌধুরী।

১১ জুলাই রবিবার সেমিফাইনাল রাউন্ডে দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে লড়াই করে টপ থ্রি-তে জায়গা করে নেন তিনি। বিচারকদের পাশাপাশি এরইমধ্যে ভোজনরসিকদেরও মন জয় করতে সমর্থ হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই নারী। কিশোয়ারকে বিজয়ীর মুকুটে দেখতে ‘গো কিশোয়ার’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করছেন অনেকে।মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার সেরা তিন

কালা ভুনার রেসিপি দিয়ে কিশোয়ার মাতোয়ারা করেন মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার বিচারকদের। তারপর বিশ্বজয় করে তার রান্না মাছের ঝোল। পরবর্তীতে বাংলাদেশের কিশোয়ার চৌধুরী বিচারকদের হাততালি কুড়োন চিরচেনা আলুর দমের ফুচকা, চটপটি আর সমুচা বানিয়ে। এভাবেই প্রতিযোগিতায় বিচারকদের তাক লাগিয়ে চলছেন কিশোয়ার।

তাকে ‘মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়া’র ১৩ তম সিজনের তারকা হিসেবে দেখছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমগুলো। অস্ট্রেলিয়ার পত্রপত্রিকাসহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রশংসায় ভাসছেন কিশোয়ার।

কিশোয়ার চৌধুরীর বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ৫০ বছর আগে অস্ট্রেলিয়াতে পাড়ি জমান তিনি। মায়ের বাড়ি কলকতায়। ভিক্টোরিয়া রাজ্যের মেলবোর্নের বাসিন্দা কিশোয়ার চৌধুরীর জন্ম ও বেড়ে উঠা অস্ট্রেলিয়াতেই। পেশায় তিনি একজন ‘বিজনেস ডেভেলপার’। দুই সন্তানের মা এই নারী সন্তানদের জন্য বাংলাদেশি খাবার রান্না করতে গিয়েই পরিবারের কাছ থেকে শিখেছেন নানান রেসিপি। তাকে নিয়ে বাংলাদেশিদের মতোই গর্বিত তার পরিবারও।