চাঁদের প্রভাবে পৃথিবীতে রেকর্ড বন্যার আভাস

চাঁদে যেমন আছে ভালোবাসা, আছে সবর্নাশও। এই মায়াবী চাঁদই সর্বনাশ ঘটাতে বসছে পৃথিবীতে। চাঁদ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণের সময় কক্ষপথে ‘টলোমলো পায়ে হাঁটার’ কারণে সামনে দেখা দেবে ভয়াবহ বন্যা; ভেসে যাবে বহু উপকূলীয় এলাকা ও শহর। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার এক গবেষণা প্রতিবেদনে ন্যাচার ক্লাইমেট চ্যাঞ্জ জার্নালের প্রতিবেদনে এমনই তথ্য এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চাঁদের অস্বাভাবিক গতিবিধির কারণে আগামী ১০ বছরের মধ্যেই আমেরিকার উপকূলীয় শহর বন্যায় প্লাবিত হবে। এতে বহু অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বাস্তুচ্যুত হবে সেখানকার অনেক মানুষ। টানা কয়েক মাস পানির নিচে থেকে যাবে ওইসব এলাকা।

২০১৯ সালে বিশ্বে ছয় শতাধিক বন্যা হওয়ার কথা জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এবার তারা আশঙ্কা করছেন আগামী ২০৩০ সালের মাঝামাঝি সময় থেকেই দুর্যোগ দুই-তিনগুণ বাড়বে। সমুদ্রের পানির উচ্চতাও বেড়ে যাবে। 

বিজ্ঞানীদের গবেষণায় জানা গেছে, কক্ষপথে একটু ঝুঁকে পড়ে চাঁদ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে আর নির্দিষ্ট সময় অন্তর সেই ঝুঁকে থাকা অবস্থায় চাঁদ ‘টলোমলো পায়ে হাঁটে’ বলেই তা বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। পৃথিবীকে প্রদক্ষিণের পথে সাড়ে ১৮ বছরের একটি চক্র রয়েছে চাঁদের। এই সাড়ে ১৮ বছরের অর্ধেক সময় চাঁদের জন্য পৃথিবীর সব সাগর, মহাসাগরে জোয়ারের পরিমাণ ও প্রাবল্য বেশি হয় ভাটার চেয়ে।

পৃথিবীতে চাঁদের প্রভাব ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এই গবেষণার প্রধান বিজ্ঞানী ফিল থম্পসন বলেন, ‘চাঁদের ওয়াবলের প্রভাবে জলস্তর বাড়বে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই এর প্রভাব আরও মারাত্মক হতে পারে’।