জাকার্তায় অভিযান শেষ, মৃতের সংখ্যা নিয়ে ধোঁয়াশা


জাকার্তার ডাউনটাউনে বন্দুকধারীর বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযানইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় পর পর কয়েকটি বিস্ফোরণ আর বন্দুকধারীর হামলার পর বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা বন্দুকযুদ্ধ অবশেষে শেষ হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। তবে প্রাথমিকভাবে ইন্দোনেশিয়ার পুলিশের তরফে ১৭ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হলেও পরে প্রকৃত মৃতের সংখ্যা ৭ বলে জানানো হয়েছে। পুলিশের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানায়, হামলা শেষ হয়েছে এবং পুলিশ এলাকাটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। তবে শারিনাহ বিপনী কেন্দ্র এলাকায় হওয়া ওই হামলায় ঠিক কতজন আহত হয়েছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। 




বৃহস্পতিবার সাতটি বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা। সেইসঙ্গে চলে বন্দুকধারীর হামলা। 

বিবিসির খবরে বলা হয়, জাকার্তায় প্রেসিডেন্ট ভবন ও জাতিসংঘের কার্যালয়ের কাছেই বিস্ফোরণগুলো ঘটে। শারিনাহ নামের একটি বিপণী কেন্দ্রের বাইরে ছয়টি বিস্ফোরণ ঘটে। ইন্দোনেশিয়ার পুলিশকে উদ্ধৃত করে আলজাজিরার খবরে প্রাথমিকভাবে ১৭ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়। বলা হয়, নিহতদের মধ্যে ৫ জন পুলিশ সদস্য, ৫ জন হামলাকারী এবং ৭ জন বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন। তবে অভিযান শেষ হওয়ার পর প্রকৃত মৃতের সংখ্যা ৭ বলে জানানো হয়েছে। মৃতের সংখ্যা ৭ বলে নিশ্চিত করেছে অন্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোও।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানায়, স্থানীয় সময় দুপুর তিনটার দিকে অভিযান শেষ হয়েছে বলে ঘোষণা দেয় ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ। নিহত ৭ জনের মধ্যে ৫ জন হামলাকারী বলেও জানান তারা।  
হামলা চলার সময় গুলির শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন জাকার্তাবাসী। আতঙ্কের খবর জানিয়ে সবাই টুইট করতে থাকেন। সেসময় থিউ উইভার নামের এক সাংবাদিক জানান, ‘নতুন করে অনেকগুলো গুলির শব্দ পাওয়া গেছে। জান বাঁচাতে সবাই এদিক সেদিক ছুটছেন। এলাকায় প্রচণ্ড রকমের আতঙ্ক বিরাজ করছে।’


অ্যাডাম হার্ভে নামের একজন টুইটারে লিখেছেন, ‘জাকার্তায় আরও আরও গুলির শব্দ-প্রচণ্ড আতঙ্ক। আমি পুলিশের একটি গাড়ির নিচে লুকিয়ে আছি।’

ইন্দোনেশিয়ায় জঙ্গি হামলার ঘটনা নতুন নয়। ২০০২ ও ২০০৫ সালেও বালিতে বড়সড় জঙ্গি হামলা হয়। ২০০২-এর ১২ অক্টোবর বালিতে জঙ্গি হামলায় ২০২ জনের মৃত্যু হয়। একই ঘটনা ঘটে ২০০৫-এও। বালিতে দুটি নাইট ক্লাবের সামনে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয় ২০ জনের।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, বিবিসি, আলজাজিরা

/এফইউ/