হকিং বলেন, পারমাণবিক যুদ্ধ, বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জিনগতভাবে উদ্ভাবিত কৃত্রিম ভাইরাস মানবসৃষ্ট দুযোর্গ তৈরি করছে। প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের ক্রমাগত অগ্রসরতা সে ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিতে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি।
তবে ধ্বংসের হাত থেকে মানবজাতিকে রক্ষা করার একটি উপায়ও বাতলে দিয়েছেন এ পদার্থবিদ। তার মতে অন্য গ্রহে মানুষের বসবাস উপযোগী কলোনি তৈরি করতে পারলেই মানবজাতিকে বাঁচানো সম্ভব হবে।
তার দাবি, নিকট ভবিষ্যতে বিশ্ব ধ্বংস হয়ে যাবে এমন আলামত না থাকলেও তা কয়েক হাজার বছরের বেশি স্থায়ী হবে না। আর তাই মানবজাতির অস্তিত্ব রক্ষায় ওই সময়ের মধ্যে মহাশূন্যে ও অন্য নক্ষত্রে মানুষের অবস্থান পাকাপোক্ত করা উচিত বলে মত দিয়েছেন তিনি।
এর আগের অনুষ্ঠানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানব সভ্যতা ধ্বংসের কারণ হয়ে উঠতে পারে বলে সতর্ক করেছিলেন স্টিফেন হকিং। তিনি বলেন, ‘এই হুমকির কারণে আমরা নিজেদের অগ্রসরতা পথ বন্ধ করে দেব তা না। কিন্তু আমাদের সবার উচিত বিপর্যয়ের বিষয়টি স্বীকৃতি দেওয়া এবং সেগুলো নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়া।’
তরুণী বিজ্ঞানীদের প্রতি পরামর্শ দেওয়ার জন্য বলা হলে জটিল ও বিশাল বিশ্ব সমন্ধে তাদের কৌতুহলী হওয়ার পরামর্শ দেন হকিং। একইসঙ্গে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কীভাবে বিশ্বকে পরিবর্তন করে দিচ্ছে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা ও বিশ্ববাসীকে তা অবহিত করার জন্যও তরুণ গবেষকদের পরামর্শ দেন তিনি। সূত্র: বিবিসি
/এফইউ/