যেভাবে ৫০০ রিঙ্গিত ব্যয় করেই পুলিশ হয়ে যাওয়া যায়!

দ্য স্টারের প্রথম পাতাএকটি হোন্ডা সিবিএক্স ৭৫০ অথবা হোন্ডা ভিএফআর ৮০০ কিংবা হোন্ডা এসটি ১৩০০ – যা কিনা পুলিশ ব্যবহার করে থাকে, তেমন একটি যান থাকলেই যথেষ্ট। পুলিশের বেশ নিতে এরপর বাকি থাকে শুধু পোশাক। মালয়েশিয়ায় পুলিশের পোশাক ও আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম অত্যন্ত সুলভেই কিনতে পাওয়া যায়। সবমিলে সেদেশে ভুয়া পুলিশ বনে যাওয়ার কাজটা কঠিন নয় মোটেও।
মালয়েশিয়ায় পুলিশের ছদ্মবেশ ধারণ করে অপরাধী চক্রের তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় এ বিষয়ে জানতে এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদককে নিয়োগ করে দ্য স্টার। আত্মপরিচয় গোপন করে সেই প্রতিবেদক বের করে আনেন চমকপ্রদ এইসব তথ্য।


দুই সপ্তাহ আগেই কুয়ালালামপুর থেকে এমন দুই ভুয়া পুলিশকে গ্রেফতার করা হয়। ট্রাফিক পুলিশের ছদ্মবেশ নিয়ে এক ভিআইপি কনভয়ের সঙ্গে বাইক চালিয়ে যাচ্ছিলেন তারা। এরপর কুয়ালালামপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, পুলিশের জামাকাপড়, হেলমেট, জ্যাকেটসহ অন্যান্য সরঞ্জাম কিনতে পাওয়া যায় বেশ কয়েকটি স্থানে। এসব কিনতে পুলিশের আইডি দেখানোরও প্রয়োজন পড়ে না। ওই প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, মাত্র ৫০০ রিঙ্গিত ব্যয় করলেই যে কোন সাধারণ নাগরিকও পুরোদস্তুর পুলিশ বনে যেতে পারেন।
পুলিশের পোশাকের এহেন বেচাবিক্রিতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে প্রশাসনও। মালয়েশিয়ার পুলিশ প্রধান তাজউদ্দিন মোহাম্মদ ইসা জনগণের প্রতি পুলিশের গতিবিধিতে সন্দেহজনক কিছু দেখলে তাদের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

মালয়েশীয় পুলিশ

তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক নাগরিকের পুলিশের আইডি কার্ড দেখতে চাওয়ার অধিকার রয়েছে। আইডি না দেখালে তা প্রশাসনকে জানাতে দ্বিধা করবেন না।’

তিনি আরও জানান, কোন পুলিশ সদস্য আইডি কার্ড দেখাতে না চাইলে সেই পুলিশের ব্যাজ নম্বর, নাম, বাইক বা গাড়ির লাইসেন্স নম্বর টুকে রাখতে হবে ও নিকটবর্তী থানায় অভিযোগ করতে হবে।

এদিকে ফেডারেল ট্রাফিক পুলিশের সহকারী প্রধান কমান্ডার মোহামেদ আখির দারুস বলেন, ‘নাগরিকদের পুলিশের পোশাক কেনার বিরুদ্ধে কোন আইন নেই, তবে সেসব ব্যবহারের বিষয়ে নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে।’ তারা আরও জানান, এ বিষয়ে সরকারের সকল প্রশাসনিক বিভাগকে অবগত করা হয়েছে। তারা আশা করছেন শিগগির পুলিশের পোশাক ক্রয়বিক্রয়ের বিষয়ে যথাযথ আইন প্রণীত হবে। 

 /ইউআর/বিএ/