টিকাপ্রাপ্ত ভিসাধারী বিদেশিদের প্রবেশের অনুমতি দেবে অস্ট্রেলিয়া

করোনাভাইরাসের পূর্ণাঙ্গ ডোজ টিকা নেওয়া ভিসাধারী বিদেশিদের প্রবেশের অনুমতি দেবে অস্ট্রেলিয়া। সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এ তথ্য জানিয়েছেন। নতুন এই সিদ্ধান্ত আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।

কোভিড সংক্রমণ মোকাবিলায় ২০২০ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বন্ধ করে দেয় অস্ট্রেলিয়া। এরপর থেকে কেবল সীমিত সংখ্যক নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দারাই মূলত দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছিলেন। কিন্তু ভিসাধারী বিদেশিদের অনুমতি মিলছিল না।

দুনিয়াজুড়ে সংক্রমণ কমে আসার বাস্তবতায় সম্প্রতি কোভিড সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিলের উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। এর অংশ হিসেবেই অস্ট্রেলীয় নাগরিকদের বিদেশি পরিবারের সদস্যদের দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি মিলে। তবে সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির অনুমোদিত ভ্যাকসিনের পূর্ণ ডোজ নেওয়া থাকতে হবে।

পূর্ণ ডোজ টিকাগ্রহীতা বিদেশি শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও শরণার্থীদেরও দেশে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের অনুমতি দিতে বিধি আরও শিথিলের ঘোষণা দিয়েছেন অসি প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। তিনি বলেন, ‘দক্ষ কর্মী ও শিক্ষার্থীদের অস্ট্রেলিয়ায় প্রত্যাবর্তন আমাদের স্বাভাবিকতায় ফেরার পথে বড় ধরনের একটি মাইলফলক।’

বিদেশি শিক্ষার্থীরা অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতিতে বছরে প্রায় ৩৫ বিলিয়ন ডলারের অবদান রাখে। ফলে তাদের প্রত্যাবর্তন শিক্ষা খাতের পাশাপাশি দেশটির অর্থনীতিকেও লাভবান করবে।

বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর নির্ভরশীল অস্ট্রেলিয়ার অনেক বিশ্ববিদ্যালয় করোনাকালে সীমান্ত বন্ধ থাকায় ব্যাপক অর্থনৈতিক সংকটে নিমজ্জিত হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতি শত শত কর্মী ছাঁটাইয়ে বাধ্য হয় বহু প্রতিষ্ঠান। সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত এসব প্রতিষ্ঠানকেও লাভবান করবে। দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের টিকাগ্রহীতা পর্যটকরাও আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের অনুমতি পাবে বলে জানান স্কট মরিসন।

আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারস-এর হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে এ পর্যন্ত এক লাখ ৯৯ হাজার ৬৫৯ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ৯৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।