কী ছিলো রোহিতের সুইসাইড নোটের কেটে দেয়া লাইনগুলোতে?

হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬ বছর বয়সী আত্মহত্যাকারী দলিত ছাত্র রোহিতের সুইসাইড নোট ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছে।
সুইসাইড নোটটি ভেতরের দিকের একখানে বেশ কিছুটা জায়গার লেখা কেটে দেয়া অবস্থায় পাওয়া যায়। লেখাগুলো এমনভাবে কাটা হয়েছিল যাতে কোনোভাবেই আর বোঝা না যায়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, আসলে লেখাগুলো কে কেটে দিয়েছিলো, আর সেখানে কী ছিল; তা নিয়ে খোঁজখবর চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
কেটে দেওয়া ওই অনুচ্ছেদের  শেষে বন্ধনীর মধ্যে লেখা আছে, 'আমি এই শব্দগুলি ব্যবহার থেকে বিরত থাকছি।' সেখানে তিনি স্বাক্ষরও করেছেন। সে কারণে লেখাগুলো রোহিত নিজেই কেটে দিয়েছেন বলেই প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
রোহিতের সুইসাইড নোট
তবে কী লিখেছিলেন রোহিত? যেগুলি পরে কেটে ফেললেন? একইসঙ্গে বন্ধনীর মধ্যেকার ওই বাক্যটির মানে কি বোঝাতে চাইছিলেন তিনি? সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, রোহিতের লেখা সুইসাইড নোট ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। সেখানে হাতের লেখা এবং অন্যান্য নানাবিধ জিনিষ খুঁটিয়ে দেখা হবে। ওই রিপোর্ট আসতে এখনও কয়েকদিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ধারণা করা হচ্ছে, কেটে দেওয়া জায়গাগুলোতে নিজের ছাত্র সংগঠন আম্বেদকার স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের প্রতি মোহভঙ্গ হওয়ার কথাই লিখেছিলেন ওই পিএইচডি গবেষক। কিন্তু দলকে বিড়ম্বনায় ফেলতে চাননি বলেই কেটে দিয়েছেন জীবনের শেষ চিঠির ওই বিশেষ অংশ।
রবিবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিষ্কৃত ছাত্র রোহিত ভেমুলা ছাত্রাবাসের কক্ষে গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। আত্মহননের আগে একটি নোট লিখে যান রোহিত। তাতে তিনি লেখেন, ‘আমার আত্মহত্যার জন্য কারো কোন দায় নেই। কেউ আমাকে উস্কানি দেয়নি। কারো কথা বা কাজের প্রেক্ষিতেও আমি এই সিদ্ধান্ত নিইনি। এই সিদ্ধান্ত একান্তই আমার নিজের এবং আমি নিজেই এর জন্য দায়ী। দয়া করে আমার মৃত্যুর পর আমার বন্ধু ও শত্রুদের কোন বিপদে ফেলবেন না।’ সূত্র: পিটিআই, এনডিটিভি

 /বিএ/