আর্মেনিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসছে তুরস্ক

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় আর্মেনিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে তুরস্ক। এতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করবেন উভয় দেশের প্রতিনিধিরা। সোমবার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু এ তথ্য জানিয়েছেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে তুর্কি সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি।

রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আয়োজিত এ বৈঠকে নিজ নিজ দেশের পক্ষে তুরস্ক ও আর্মেনিয়ার বিশেষ দূত অংশ নেবেন।

মেভলুত কাভুসোগলু বলেন, প্রতিটি দেশের বিশেষ দূতদের প্রথমে ফোনে কথা বলা এবং মুখোমুখি বৈঠকের তারিখ ও স্থান নির্ধারণ করা উচিত।

তিনি বলেন, আর্মেনিয়ার প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রথম বৈঠকটি মস্কোতে অনুষ্ঠিত হবে। এর পাশাপাশি আঙ্কারা সরাসরি যোগাযোগের ব্যাপারে আগ্রহী।

দুই দেশের মধ্যে সরাসরি আলোচনার জন্য উভয় দেশের পক্ষ থেকে বিশেষ দূত নিয়োগের কথাও জানান তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য একটি রোডম্যাপ থাকা দরকার। এই বিষয়টি প্রথম বৈঠকের এজেন্ডায় থাকবে।

তুরস্ক ও আর্মেনিয়ার মধ্যে চার্টার ফ্লাইট শিগগিরই শুরু হবে উল্লেখ করে কাভুসোগলু বলেন, তার দেশ আজারবাইজানের সঙ্গে পরামর্শ ও সমন্বয় সাপেক্ষে আর্মেনিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

তুরস্ক ও আর্মেনিয়ার মধ্যে বিরোধপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর একটি সামরিক জোটের সদস্য রাশিয়া। ওই জোটে আর্মেনিয়াও রয়েছে। দেশটিতে একটি রুশ সামরিক ঘাঁটি আছে।অবশ্য আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া, উভয় দেশের কাছেই অস্ত্র সরবরাহ করে মস্কো।

বিরোধপূর্ণ নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে গত বছর ৪৪ দিন ধরে লড়াই করে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। এতে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। তুরস্কের সামরিক সহায়তা নিয়ে শেষ পর্যন্ত ওই যুদ্ধে জয়ী হয় আজারবাইজান। আর্মেনিয়ার কাছ থেকে নাগোরনো-কারাবাখের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয় বাকু। এ ঘটনায় তুরস্কের প্রতি আরও ক্ষুব্ধ হয় আর্মেনিয়া। এমন পরিস্থিতিতেই দুই দেশের মধ্যে আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছে আর্মেনিয়ার মিত্র রাশিয়া।