অকল্যান্ডে আতশবাজির মধ্য দিয়ে বর্ষবরণ

নিউ জিল্যান্ডের অকল্যান্ড বিশ্বের প্রথম শহর হিসেবে আতশবাজির মধ্য দিয়ে ২০২২ সালকে স্বাগত জানিয়েছে। শুক্রবার হারবার ব্রিজ, স্কাই টাওয়ার ও অকল্যান্ড মেমোরিয়াল মিউজিয়ামে রাত ৯টা থেকে ছিল আলোকসজ্জা। মধ্যরাতে এগুলো আলোতে জ্বলমল করে ওঠে।

২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষ দিন মধ্যরাতে ঘড়ির কাটা ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে অকল্যান্ডে আতশবাজি শুরু হয়। যদিও তা ছিল সীমিত। হারবার ব্রিজ ও স্কাই টাওয়ারে আতশবাজির পরিবর্তে উজ্জ্বল আলো জ্বলে ওঠে।

অকল্যান্ডে ২০২২ সালকে বরণ

মধ্যরাতে কয়েকহাজার কিশোর-কিশোরী ওয়ালিয়ামসন পার্কে জড়ো হয়। পার্কের প্রতিটি কোণে পুলিশের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

করোনাভাইরাস মহামারিতে টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে নিউ ইয়ার উদযাপনের আয়োজন সীমিত করা হয়েছে। এবার উচ্চ সংক্রমণশীল ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিস্তারে অনেক স্থানেই আয়োজন বাতিল করা হয়েছে।

২০২২ সালকে স্বাগত জানাতে অপেক্ষায় মানুষ

বিশ্বের বিভিন্ন শহরে এই উৎসবের মুহূর্তে মানুষকে ঘরে থাকতে বাধ্য করা হলেও নিউ জিল্যান্ড মানুষের জমায়েত হওয়ার ক্ষেত্রে শিথিলতা এনেছে।

আন্তর্জাতিক মান সময়ের তারতম্যের কারণে নতুন বছরকে আগে বরণ করার সুযোগ পায় এমন দেশগুলোর একটি নিউ জিল্যান্ড। নতুন বছরকে আমন্ত্রণ জানানোর উৎসবে মেতে ওঠার ক্ষেত্রে বড় শহরগুলোর মধ্যে অকল্যান্ডের সুযোগ আসে সবার আগে।

অকল্যান্ড হারবার ব্রিজে আতশবাজির পরিবর্তে আলো জ্বালানো হয়

পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ধীরে ধীরে ২০২১ সালকে বিদায় এবং ২০২২ সালকে বরণ করে নেবে পুরো বিশ্ব। প্রশান্ত মহাসাগরের দেশগুলো থেকে শুরু করে এশিয়া, ইউরোপ এবং সর্বশেষ আমেরিকার দেশগুলো নতুন বছরকে বরণ করবে। 

সূত্র: নিউ জিল্যান্ড হেরাল্ড, টাইমস নাউ নিউজ