বিধিনিষেধের মধ্যেই নতুন বছরকে স্বাগত জানালো বিশ্ব

করোনা মহামারির মধ্যেই ইংরেজি বছর ২০২২ বরণ করে নিলো বিশ্ববাসী। সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই সীমিত পরিসরে উদযাপিত হয়েছে বর্ষবরণ উৎসব।

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে সংক্রমণের চূড়ায়। এমন পরিস্থিতিতে প্যারিসে বাতিল হয় আতশবাজির অনুষ্ঠান। এর মধ্যেও ২০২২ সালকে স্বাগত জানান ফরাসিরা।

টাইমস স্কয়ারে নানাভাবে উদযাপিত হয় বর্ষবরণ

৩১ ডিসেম্বর নিউইয়র্কের বিখ্যাত টাইমস স্কয়ারে ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টায় পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই একটি বল ফেলে নববর্ষের সূচনা ঘোষণা করা হয়। আর সে দৃশ্য সরাসরি উপভোগ করেন মাত্র ১৫ হাজারের মতো মানুষ। নতুন করে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় এমন পদক্ষেপ নেয় কর্তৃপক্ষ। করোনার আগে নতুন বছর উদযাপনে কয়েক লাখ মানুষের সমাগম ঘটতো এখানে। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, মাত্র ১৫ হাজার মানুষের মধ্যে আমি ভাগ্যবান যে এখানে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছি।

নববর্ষের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন জার্মানরা। তবে ব্র্যান্ডেনবার্গ গেটের কাছে মানুষ জড়ো হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় পুলিশ। জনসাধারণের সরাসরি অংশগ্রহণ ছাড়াই একটি কনসার্টের আয়োজন করা হয়।

ইউরোপের আরেক দেশ নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামের সেন্ট্রাল ড্যাম স্কোয়ারে একসঙ্গে চারজন জড়ো হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। কিন্তু তা অমান্য করে কয়েক হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। পরবর্তীতে পুলিশ এসে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে বাধ্য হয়।

লন্ডনে লেজার শো

আতশবাজির ঝলকানিতে ছেয়ে যায় লন্ডনের আকাশ। যুক্তরাজ্যে শুক্রবার করোনা আক্রান্তের সর্বোচ্চ রেকর্ড হওয়ায় বাতিল হয় বড় আয়োজন। তবে ছোট্ট পরিসরে আয়োজন ছিল চোখে পড়ার মতো। অন্যদিকে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিস্তারের ফলে স্পেন, দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনসহ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোতেও উৎসবে ভাটা পড়ে।

করোনা মহামারিতে নিজেদের মতো করে ইংরেজি বছরকে বরণ করে নিচ্ছেন চীনের তরুণীরা