দুয়ারে চিতাবাঘ, তোলপাড় জলপাইগুড়িতে

দুয়ারে হাজির চিতাবাঘ। পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়িতে শুক্রবার সকালে শুরু হয় তুলকালাম কাণ্ড। পরিস্থিতি এমন হয় যে, জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। প্রায় ৬ ঘণ্টার চেষ্টায় কাবু করা সম্ভব হয় চিতাবাঘটিকে।

এর আগে, জাম গাছের মগডালে ঘাপটি মেরে বসে থাকে। ধূপগুড়ি শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বসাকপাড়া এলাকায় শুক্রবার সকালে চিতাবাঘের আতঙ্ক ছড়ায়। জনবসতিপূর্ণ এলাকার এক বাসিন্দা সুকুমার বসাক চিতাবাঘটিকে প্রথম দেখতে পান। এরপরই সবাইকে খবর দেন।

প্রথম দিকে কেউ অবশ্য বিশ্বাস করেননি। পরে গাছের ডালে চিতাবাঘটিকে দেখে শুরু হয় হইচই। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে হাজির হয় ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। এদিকে শহরে চিতাবাঘ ঢোকার খবর পেয়ে অনেকে ছুটে আসে ৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়।

এরপরই খবর দেওয়া হয় ধূপগুড়ি পৌরসভায়। খবর যায় বন দফতরে। ঘটনাস্থলে একে একে আসতে থাকে বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণ স্কোয়াড,রামসাই রেঞ্জ, মোরাঘাট রেঞ্জ, নাথুয়া রেঞ্জ, ডায়না রেঞ্জ এবং দলগাঁও রেঞ্জের বনকর্মীরা। 

বাঘটি যেহেতু গাছের মগডালে আশ্রয় নিয়েছিল সেই গাছের নিচে জাল ফেলে ঘুমপাড়ানি গুলি করার সিদ্ধান্ত নেয় বন দফতর। গুলি ব্যর্থ হলে খবর দেওয়া হয় দমকল বাহিনীকে। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় চিতাবাঘ মগডাল থেকে কিছুটা নীচে নেমে আসতেই বন দফতরের কর্মীরা গুলি করে কাবু করে।

এদিকে চিতাবাঘ দেখতে মানুষের এতই ভিড় ছিল যে নিয়ন্ত্রণে আনতে নাকাল হতে হয় পুলিশকে। বাঘটিকে উদ্ধারের পর নিয়ে যাওয়া হয় মাদারিহাটে। সেখানেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়। এরপর জলদাপাড়া জঙ্গলে ছাড়া হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা হেলেন দে বলেন, ঘরের পেছনে জাম গাছের উপরে চিতাবাঘ উঠেছে ভাবতেই পারছি না। যখন লোকের মুখে শুনতে পেলাম কাছে দেখতে পাই বিরাট আকারের চিতাবাঘ। ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।

জলদাপাড়ার ডিএফও দীপক এম বলেন, পাশের কোনও জঙ্গল থেকে চিতাবাঘটি লোকালয়ে চলে এসেছিল। এখন জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। চিতাবাঘটি সুস্থ আছে।