জিকা ভাইরাস: টিকা সহজলভ্য হতে লাগবে আরও ১০ বছর

জিকা ভাইরাসের টিকা সহজলভ্য হতে লাগবে আরও ১০ বছরবিশ্বজুড়ে হঠাৎই নতুন করে ছড়িয়ে পড়া আতঙ্কের নাম জিকা ভাইরাস। নতুন করে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসটির প্রতিষেধকের জন্য যখন ল্যাটিন আমেরিকার অনেক দেশ উন্মুখ হয়ে আছে, তখন,  মার্কিন বিজ্ঞানীরা শোনালেন অন্য কথা। তারা বলছেন, মশাবাহী এই ভাইরাসটির টিকা জনসাধারণের মাঝে সহজলভ্য করতে তাদের আরও এক দশকের বেশি সময় লেগে যেতে পারে।
বর্তমানে এই ভাইরাসের কোনও প্রতিষেধক বাজারে নেই। এছাড়া এই ভাইরাসের ল্যাবরেটরি পরীক্ষাও কঠিন।
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল ব্রাঞ্চ বর্তমানে এই ভাইরাসের টিকা নিয়ে কাজ করছে। এই ব্রাঞ্চের বিজ্ঞানীরা এরইমধ্যে উপদ্রুত এলাকায় সফর করে ভাইরাসে আক্রান্তদের রক্তসহ বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেছেন। তবে তারা বলছেন, এই ভাইরাসের উপযুক্ত টিকার পরীক্ষা চালাতে তাদের দুই বছরের বেশি সময় লাগতে পারে। আর তা পারা গেলেও মানুষের কাছে প্রতিষেধকটি সহজলভ্য করতে এক দশকের বেশি সময় লেগে যেতে পারে।    
এরইমধ্যে জিকা ভাইরাসের ব্যাপারে ব্রাজিলসহ বিশ্বব্যাপী সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিশেষ করে ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোতে নেওয়া হয়েছে চরম সতর্কতামূলতা ব্যবস্থা। কারণ ২০টিরও বেশি দেশে এই ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। ল্যাটিন আমেরিকার হাজার হাজার মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ব্রাজিলের অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে, এই ভাইরাসের কারণে দেশটির সরকার নারীদের আগামী দুই বছর গর্ভধারণ থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দিয়েছে।   বিশ্বব্যাপী দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে মশাবাহিত ভাইরাসটি

এডিস মশা থেকে সাধারণত জিকা ভাইরাস মানুষের দেহে ছড়িয়ে থাকে। এই ভাইরাস মানুষের শরীরে একবার প্রবেশ করলে প্রাথমিক অবস্থায় জ্বর, হাতে পায়ের জয়েন্টে ব্যাথাসহ নানা ছোটখাটো কিছু শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেয়। কিন্তু তা কম সময়ের মধ্যে সেরেও যায়। তবে বিপত্তি তৈরি হয় গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে। গর্ভাবস্থায় জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মাইক্রোফেলাসি তথা বিকৃত ও ছোট মাথা নিয়ে জন্ম নিতে পারে শিশু। এসব শিশুর বুদ্ধিমত্তার ঘাটতি থাকে, শারীরিক বৃদ্ধি কম হয় এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। সূত্র: বিবিসি

/এসএম/