রুশ বাহিনী ৭ বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে: ইউক্রেন

রুশ সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশুসহ ইউক্রেনের ৭ বেসামরিক নাগরিককে হত্যার অভিযোগ করেছে ইউক্রেন। শনিবার রাজধানী কিয়েভের কাছে ওই হামলা করা হয় বলে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এদিকে ফ্রান্স অভিযোগ করেছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শান্তি স্থাপনে কোনও পদক্ষেপই নিচ্ছে না।

রাশিয়ার আগ্রাসনের তৃতীয় সপ্তাহে ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা সংস্থা বলেছে, যে ৭ জন নিহত হয়েছে, তাদের মধ্যে এক শিশু আছে। তারা পেরেমোহা গ্রাম ছেড়ে যাচ্ছিল। কিন্তু পথে তাদের ওপর হামলা করা হয় এবং অনেককে ফিরে যেতে বাধ্য করা হয়।

এ বিষয়ে রাশিয়া তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি। তবে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করার বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে দেশটি। তাছাড়া রাশিয়া বেসামরিক শহরগুলো থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার ব্যর্থ প্রচেষ্টার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, এ পর্যন্ত প্রায় এক হাজার তিনশ' ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে এবং পশ্চিমাদের শান্তি আলোচনায় আরও যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আমাদের রাষ্ট্রপতি পরামর্শ দিয়েছেন, রাশিয়ান বাহিনী যদি রাজধানীতে প্রবেশ করতে চায়, তবে তাদের মৃত্যুর লড়াইয়ের মুখোমুখী হতে হবে।'

এদিকে জেলেনস্কি জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ ও ফ্রান্সের প্রেসিডেনট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় জার্মান ও ফরাসি নেতারা পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং রাশিয়ান নেতাকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আদেশ দেওয়ার আহ্বান জানান।

ওই ফোনালাপে পুতিনের সঙ্গে ৭৫ মিনিট ধরে কথা হয়েছে, কিন্তু বিবৃতিতে যুদ্ধবিরতির কথা উল্লেখ করা হয়নি বলে জানান ফরাসি প্রেসিডেন্সির একজন কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‌আমরা যুদ্ধ শেষ করার জন্য পুতিনের পক্ষ থেকে কোনও ইচ্ছা খুঁজে পাইনি।'