জান্তা সরকারের বিদায়ী অনুষ্ঠানে সু চিকে উষ্ণ অভ্যর্থনা

মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের নেতৃত্বাধীন শেষ পার্লামেন্ট অধিবেশনকে ঘিরে আয়োজিত হলো এক উৎসব। আর তাতে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হলো গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী এবং নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় বসতে যাওয়া ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) নেতা অং সান সু চি।

জান্তা সরকারের বিদায়ী অধিবেশনের অনুষ্ঠানে যোগ দেন সু চি

বিদায়ী এই অধিবেশনের মধ্য দিয়ে দেশটিতে গত অর্ধশতকের সেনা আধিপত্যের অবসান ঘটছে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। শুক্রবারের অধিবেশনে উৎফুল্লচিত্তে অংশ নেন বর্তমান সেনাসমর্থিত এমপিরা। শেষ দিনের অধিবেশনটিকে প্রাণবন্ত করে রাখেন তারা।

বিদায়ী স্পিকার অধিবেশনের উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, প্রত্যেকের সম্পর্কে মজার মজার গল্প বলে আমি সকলকে বিদায় জানাতে চাই। এ সময় তিনি সবার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন। নতুন পার্লামেন্ট ও মিয়ানমারের গণতন্ত্রে উত্তরণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে স্পিকার বলেন, স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে।

জান্তা সরকারের বিদায়ী অধিবেশনের অনুষ্ঠানে সু চি, ছবি এএফপি

বিদায়ী অনুষ্ঠানে সু চিকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। ‘স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে’... এমন একটি গান গেয়ে সু চিকে স্বাগত জানান সংসদ সদস্যরা। অনুষ্ঠানে সম্প্রদায়গত সংখ্যালঘুরা নৃত্য পরিবেশন করেন। 

অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন সম্প্রদায়গত সংখ্যালঘুরা, ছবি এএফপি

গত ৮ নভেম্বর মিয়ানমারে ২৫ বছরের মধ্যে প্রথম অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ৮০ শতাংশ আসনে জয় পায় অং সান সুচি’র দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি দেশটির নতুন পার্লামেন্টের যাত্রা শুরুর কথা রয়েছে। সে হিসেবে শুক্রবার ছিল পার্লামেন্টে আগের মেয়াদের সেনা সমর্থিত এমপিদের শেষ কার্যদিবস।

শুক্রবার বিকেলে নতুন পার্লামেন্টকে স্বাগত জানান বিদায়ী পার্লামেন্টের সদস্যরা।

মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থিন সেইন তার বক্তব্যে দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রগতিকে জনগণের বিজয় হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি আগামী মার্চের শেষ পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন।

উল্লেখ্য, ২০১১ সাল থেকে মিয়ানমার শাসন করছে দেশটির সেনাসমর্থিত রাজনৈতিক দল দ্য ইউনিয়ন সলিডারিটি এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি)। তবে গত নভেম্বরের নির্বাচনে সুচি’র দলের কাছে তাদের পরাজয় ঘটে। সূত্র: ইয়াহু।

/এমপি/বিএ/