পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে ব্যক্তিগত সার্ভার থেকে ইমেইল আদান-প্রদান করেছিলেন হিলারি। দীর্ঘ সময় ধরে আদান-প্রদান করা ইমেইলগুলোতে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয়েরও উল্লেখ ছিল। আর আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থিতা চাওয়ার পর হিলারির ইমেইল ইস্যু জোরালো হয়ে ওঠে। বিরোধীদের অভিযোগ,অনিরাপদ কমিউটার সিস্টেম ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছেন হিলারি।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, পাঠানোর সময় ওই ইমেইলগুলোকে ক্লাসিফায়েড বা শ্রেণীবদ্ধ করা হয়নি। তিনি জানান, অতি গোপনীয় ঘোষণা করা ইমেইলগুলো আংশিকভাবেও প্রকাশ করা হবে না। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের তরফে বলা হয়, ইমেইলগুলো প্রকাশ করা হলে তা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে দিতে পারে তাই এগুলোকে অতি গোপনীয় ঘোষণা করা হয়েছে।
এ পর্যন্ত সাত হাজার পৃষ্ঠার বেশি ইমেইল প্রকাশের উদ্যোগ নেয়া হলেও এর মধ্যে ৩৭ পৃষ্ঠা ইমেইল প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। ড্রোন হামলা কিংবা আড়িপাতার মতো বিষয়গুলোর উল্লেখ থাকায় ইমেইলগুলো প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মার্কিন বার্তা সংস্থা এপিকে জানান যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা। সূত্র:বিবিসি
/এফইউ/বিএ/