অস্ট্রেলিয়ায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে লেবার পার্টির আলবেনিজ

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন দেশটির লেবার পার্টির নেতা অ্যান্টনি আলবেনিজ। দেশটির তিনটি নিউজ নেটওয়ার্কের পূর্বাভাস অনুসারে, লেবার পার্টি সংখ্যালঘু সরকার গঠনের পথে রয়েছে। তবে ভোট গণনা চলতে থাকায় দলটি সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য পর্যাপ্ত আসন পাবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এখবর জানিয়েছে।

সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠন করতে ৭৬টি আসনে জয়লাভ করতে হয় দলগুলোকে। অস্ট্রেলীয় নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুসারে, লেবার পার্টির আসন সংখ্যা ৭৩। শনিবার ভোট অনুষ্ঠিত হয়।

সম্ভাব্য এই ফলাফলের কারণে দেশটিতে ৯ বছরের রক্ষণশীলদের শাসনের অবসান হতে যাচ্ছে। জনমন মধ্য-বাম ঘরানার বিরোধী দলের পক্ষেই গেছে। এই শিবিরের পক্ষ থেকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় শক্তিশালী পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

গবেষণা গোষ্ঠী ক্লাইমেট কাউন্সিল-এর সিইও আমান্ডা ম্যাকেঞ্জি অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচনে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলাকে জয়ী হিসেবে ঘোষণা করেছেন।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, লাখো অস্ট্রেলীয় জলবায়ু পরিবর্তনকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন।  

সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেভিন রুড ও জুলিয়া গিলার্ডের শাসনামলে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন আলবেনিজ। ২০১৯ সালের নির্বাচনে দলটির সর্বশেষ পরাজয়ের পর লেবার নেতা হিসেবে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন নির্বাচনে পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ভোট গণনা অসম্পূর্ণ থাকলেও মনে হচ্ছে লেবার পার্টি সরকার গঠন করবে।

মরিসন বলেন, আজ রাতে আমি বিরোধী দলের নেতা ও সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবেনিজের সঙ্গে কথা বলেছি। সন্ধ্যায় নির্বাচনে জয়লাভের জন্য আমি তাকে অভিনন্দন জানিয়েছি।

লিবারেল পার্টির প্রধানের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগেরও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

২০১৮ সালে বেশ কয়েকবার নেতৃত্ব বদলের পর প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন মরিসন।