সিরীয় শান্তি আলোচনা

যুদ্ধবিরতির আশা ক্ষীণ, আলেপ্পোতে অভিযান জোরদার

সুইজার‌ল্যান্ডের জেনেভায় সিরিয়ার সরকার ও বিদ্রোহী পক্ষের মধ্যে চলমান শান্তি আলোচনায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা ফুরিয়ে আসছে। এদিকে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত আলেপ্পোতে অভিযান জোরালো করেছে সরকারি বাহিনী। রাশিয়ার বিমান হামলার সহায়তায় আলেপ্পোতে বিদ্রোহীদের সরবরাহ রুটগুলো ধ্বংস করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে বিরোধীদের তরফে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে অস্ত্র সহায়তা চাওয়া হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার খবরে এসব কথা বলা হয়েছে।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে আলেপ্পোতে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। আর সম্প্রতি এলাকাটিতে অভিযান শুরু করে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী। তবে বিদ্রোহীদের সঙ্গে অস্ত্র বিরতির সম্ভাবনা ফুরিয়ে আসার পর সে অভিযান আরও জোরালো হয়। বিদ্রোহীদের অভিযোগ, এ অভিযান এ পর্যন্ত চালানো অভিযানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জোরালো। আবু ইয়াসিন নামের বিদ্রোহীদের এক কমান্ডার বলেন, ‘সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোর একটা বড় অংশ সরকারি ও মিলিশিয়া বাহিনীর দখলে চলে যাচ্ছে।’ বিদ্রোহীদের জন্য আরও অস্ত্র পাঠাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।

সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকা আলেপ্পোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সরকারি বাহিনী

ইয়াসিন বলেন, ‘সরবরাহ রুটগুলো এখনও বিচ্ছিন্ন হয়নি, তবে সেখানে ক্রমাগত বিমান হামলা চলছে। তিন দিন ধরে রাশিয়ার বিমানগুলো রাত-দিন টহল দিচ্ছে। বিমান প্রতিরোধী ক্ষেপণাস্ত্র খুব জরুরি হয়ে পড়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা না পাওয়া গেলে সরকারি বাহিনী আলেপ্পো দখল করে নিতে পারে।’

এমন অবস্থায় জেনেভায় দু পক্ষের মধ্যে চলমান আলোচনায় অস্ত্রবিরতির ব্যাপারে সমঝোতা হবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এদিকে শান্তি প্রক্রিয়া চলার সময় বোমা হামলা না চালাতে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। ইতালির রোমে আইএসবিরোধী দেশগুলোর মধ্যে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে যোগ দেওয়ার পর কেরি বলেন, ‘আমরা আলোচনার টেবিলে আছি এবং একটি অস্ত্রবিরতি আশা করছি।’

যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, আলেপ্পো থেকে ১০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত হারদাতনিন গ্রামটি সরকারি বাহিনী দখল করে নিয়েছে। এরইমধ্যে গ্রামটি পুনর্দখলের জন্য বাহিনী পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বিদ্রোহীরা। সূত্র: আলজাজিরা

/এফইউ/বিএ/