যুদ্ধপীড়িত সিরীয়দের হাজার কোটি ডলারের সহায়তা দেবে দাতারা



nonameপাঁচ বছরের গৃহযুদ্ধের শিকার সিরিয়ার নাগরিকদের জন্য এক হাজার কোটি ডলার ব্যয় করবে দাতা দেশগুলো। যুদ্ধপীড়িত মানুষের জীবন বাঁচাতে প্রয়োজনীয় খাবার, স্বাস্থ্য সেবা এবং নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য এ অর্থ ব্যয় করা হবে। গৃহযুদ্ধের কারণে শরণার্থী হওয়া মানুষদের জন্য ১০ লাখ চাকরি এবং সিরিয়ার প্রতিবেশি দেশগুলোতে তাদের সন্তানদের জন্য ১০ লাখ স্কুল তৈরি করা হবে। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ বৃহস্পতিবার লন্ডনে ‘সিরিয়া এইড কনফারেন্স’-এর উদ্বোধনী ভাষণে এসব ঘোষণা দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন।
প্রতিশ্রুত অর্থের মধ্যে ২০১৬ সালেই ব্যয় করা হবে ৬০ কোটি ডলার। বাকি অর্থ পর্যায়ক্রমে ২০২০ সাল পর্যন্ত ব্যয় করা হবে। এ অর্থের একটা বড় অংশের যোগান দেবে জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।
৬০টি দেশের প্রতিনিধিরা ছাড়াও ৩০ জন বিশ্বনেতা এই দাতা সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক সিরীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়া তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ দাভোতোগলুও রয়েছেন। এছাড়া জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন।
যুদ্ধপীড়িত মানুষের জন্য এ অর্থ বরাদ্দের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন। তিনি বলেন, একটি নির্দিষ্ট বিষয়কে কেন্দ্র করে একদিনে এ পরিমাণ তহবিল সংগ্রহের ঘটনা এর আগে কখনও ঘটেনি।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, সিরিয়ায় জীবন রক্ষাকারী সামগ্রীর ভয়াবহ সঙ্কট দেখা দিয়েছে।

তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাভুতগলু বলেন, আলেপ্পোয় সম্প্রতি বোমা বর্ষণ শুরু হওয়ার পর জীবন বাঁচাতে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ তুরস্কের পথে রওয়ানা হয়েছেন।

সম্মেলনে বিশ্বনেতারা সিরিয়ার শিশুদের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই দেশটির প্রতিটি শিশুকে শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় আনার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন।

জাতিসংঘের উদ্যোগে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আয়োজিত সিরীয় শান্তি আলোচনার প্রেক্ষিতে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। ওই আলোচনায় রাজনৈতিকভাবে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ অবসানের পথ খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু আলোচনা চলাকালে বিদ্রোহীদের ওপর লক্ষ্য করে রাশিয়ার বিমান হামলা এবং সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর ব্যাপক অভিযানের মুখে বুধবার শান্তি আলোচনা স্থগিত হয়ে যাওয়ায় এ দাতা সম্মেলন অনেকটাই মলিন হয়ে গেছে।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে শুরু হওয়া সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে এখন পর্যন্ত আড়াই লক্ষাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। গৃহহীন হয়েছেন প্রায় এক কোটি মানুষ। সূত্র: আল জাজিরা।

/এমপি/