প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে কে-টু জয় ওয়াসফিয়ার

প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পবর্তশৃঙ্গ পাকিস্তানের কে-টু চূড়া জয় করেছেন এভারেস্ট জয়ী পবর্তারোহী ওয়াসফিয়া নাজরিন। শুক্রবার তিনি কে-টু চূড়ায় পা রাখেন। একই দিনে কে-টু জয় করেছেন ইরানি আফসানেহ হেসামিফার্ড, লেবানিজ-সৌদি নাগরিক নেলি আত্তার ও পাকিস্তানের নাগরিক সামিনা বেগ। প্রত্যেকেই নিজ নিজ দেশের প্রথম নারী পর্বতারোহী হিসেবে কে-টু জয় করেছেন। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এখবর জানিয়েছে।

বাংলাদেশের একমাত্র এবং প্রথম বাঙালি হিসেবে সাত মহাদেশের সাতটি সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ (সেভেন সামিট) জয় করার জন্য পরিচিত ওয়াসফিয়া।  

তার এই অভিযানের পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে রেনাটা লিমিটেড। তার সঙ্গে ছিলেন বিশ্বের কয়েকজন শক্তিশালী ও বিখ্যাত পবর্তারোহী। এদের মধ্যে রয়েছেন মিঙ্গমাতেঞ্জি শেরপা, মিঙ্গমা ডেভিড শেরপা ও নির্মল পুরজা।

রবিবার কে-টু চূড়ায় ওঠার জন্য রওনা দেন ওয়াসফিয়া। ৩৯ বছর বয়সী পর্বতের চূড়ায় শুক্রবার সকালে পৌঁছান। এই চূড়ার উচ্চতা ২৮ হাজার ২৫১ ফুট (৮ হাজার ৬১১ মিটার)।

বিশ্বে ৮ হাজার মিটারের চেয়ে উঁচু পর্বতগুলোর মধ্যে ১৪টি রয়েছে পাকিস্তানে। এগুলোর চূড়ায় পৌঁছা যেকোনও পবর্তারোহীর জন্য কৃতিত্বের।

এভারেস্টের চেয়ে কে-টুর চূড়ায় আরোহন করা শুধু যে কঠিন তা নয়। পর্বতারোহনের জন্য কঠিন অস্থির আবহাওয়া মোকাবিলা করতে হয়। ১৯৫৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৪২৫ জন ব্যক্তি এই পর্বত জয় করেছেন। এদের মধ্যে নারীর সংখ্যা ২০জন।

এডমুন্ড হিলারি ও তেনজিং নোরগে ১৯৫৩ সালে প্রথমবার পৌঁছার পর এখন পর্যন্ত ৬ হাজারের বেশি মানুষ এভারেস্ট চূড়ায় পা রেখেছেন, অনেকে একাধিকবার।