ব্রিটিশ লেবার পার্টিতে মুসলিম নারীদের প্রতি বৈষম্যের অভিযোগ

মুসলিম উইমেন`স নেটওয়ার্ক ইউকে`র প্রধান শায়েস্তা গোহিরযুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির মুসলিম পুরুষ কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে নারীবিদ্বেষী আচরণের অভিযোগ করেছে দেশটির শীর্ষস্থানীয় একটি নারী সংগঠন। লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনের কাছে লেখা এক চিঠিতে এ অভিযোগ জানানো হয়।
মুসলিম উইমেন’স নেটওয়ার্ক ইউকে’র করা ওই অভিযোগে বলা হয়, প্রার্থিতা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে মুসলিম কাউন্সিলরদের অনেকে মুসলিম নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করে থাকেন। সংগঠনটির প্রধান শায়েস্তা গোহির বলেন, ‘এ ধরনের প্রবণতা যে কেবল লেবার সদস্যদের রয়েছে তা নয়, করজারভেটিভদেরও রয়েছে এবং তা ডেভিড ক্যামেরনকে অবহিত করা হয়েছে। তবে আমাদের অভিজ্ঞতা হলো মুসলিম নারীদের প্রতি লেবার কাউন্সিলররাই বেশি বৈষম্য করে থাকেন।’  
এ ব্যাপারে তদন্ত করার জন্য করবিনকে অনুরোধ জানানো হয়।
বিবিসির নিউজ নাইট শোতে হাজির হয়ে গোহির অভিযোগ করে বলেন, ‘লেবার পার্টির শীর্ষ নেতারা মুসলিম নারীদের প্রতি বৈষম্য হচ্ছে জেনেও তা না দেখার ভান করেন। কারণ তাদের কাছে ভোটই সবকিছু।’
‘এসব লোক একটি নির্দিষ্ট ধারণায় আটকে আছে। তারা চায় না নারীর ক্ষমতায়ন হোক। কেন? কারণ আমরা মর্যাদা নিয়ে প্রশ্ন তুলব, বৈষম্য নিয়ে প্রশ্ন তুলব, অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানাবো।’ ক্ষোভ জানান গোহির।

ফোজিয়া পারভীন নামের এক নারী জানান, ২০০৭-০৮ সালের দিকে বার্মিহামে তিনি লেবার কাউন্সিলর পদে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। তবে দলের মুসলিম পুরুষ সদস্যদের কারণে তা হয়ে ওঠেনি বলে আক্ষেপ জানান তিনি।

লেবার পার্র্টির নেতা জেরেমি করবিনফোজিয়া বলেন, ‘আমি যখন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইলাম তখন দেখলাম পুরুষ সদস্যরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করলেন। তারা প্রচার করতে লাগলেন যে তখন ক্ষমতায় থাকা এক কাউন্সিলরের সঙ্গে আমার প্রেম আছে। বার্মিংহামে নারীরা জয় পাবে না বলেও মত দিতে থাকে তারা। শেষ পর্যন্ত আমাকে পিছু হটতে বাধ্য করা হয়।’

আরেক লেবারকর্মী জানান, ‘ইসলাম ও নারীবাদ একে অপরের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়’ উল্লেখ করে তাকে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দিতা করতে দেওয়া হয়নি।

এদিকে লেবার পার্টির এক মুখপাত্র বলেন, ‘জয়ের সম্ভাবনা আছে এমন আসনগুলোতে নারীদের মনোনয়ন নিশ্চিত করার নিয়ম দলের আছে। অত্যন্ত গণতান্ত্রিক ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় লেবার পার্টি প্রা্র্থী বাছাই করে থাকে। দলের নিয়ম মেনেই স্থানীয় লেবার পার্টির সদস্যরা স্থানীয় প্রার্থীদের বাছাই করেন।’ সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট

/এফইউ/