ইরানের উচিত অগ্রহণযোগ্য দাবি প্রত্যাহার করা: যুক্তরাষ্ট্র

ইরানের উচিত ২০১৫ সালের পারমাণবিক সমঝোতা পুনরুজ্জীবিত করার ব্যাপারে তার অগ্রহণযোগ্য দাবিগুলো প্রত্যাহার করা। সোমবার এক ব্রিফিংয়ে এমন মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।

নেড প্রাইস বলেন, তেহরানের জন্য পারমাণবিক সমঝোতা পুনরুজ্জীবিত করার একমাত্র উপায় হলো তার এমন অগ্রহণযোগ্য দাবিগুলো পরিত্যাগ করা যা চুক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়।

তিনি বলেন, ওয়াশিংটন মনে করে যেসব বিষয় নিয়ে কথা হওয়া উচিত তার সবগুলো নিয়েই ইতোমধ্যে আলোচনা হয়েছে।

চুক্তিটি পুনরুজ্জীবিত করার বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘চূড়ান্ত’ খসড়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিক্রিয়া জানাবে বলেও জানান নেড প্রাইস। ইরান অবশ্য সোমবার এই খসড়ার বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তেহরানের তরফে তিনটি সমস্যা সমাধানে নমনীয়তা দেখানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

বহুল আলোচিত এই পরমাণু সমঝোতা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যস্থতায় ইরানের সঙ্গে গত ১৬ মাস ধরে পরোক্ষ আলোচনা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ইইউ-এর একজন সিনিয়র কর্মকর্তা গত ৮ আগস্ট ইউরোপের তরফে একটি ‘চূড়ান্ত’ প্রস্তাব রাখার কথা জানান। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ইরানের কাছ থেকে এর একটি জবাব পাওয়ার আশাবাদের কথাও জানান তিনি। সে অনুযায়ী সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে বিষয়টি নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে তেহরান। একইদিন বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস।

ওয়াশিংটন বলছে, তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রস্তাবের ভিত্তিতে ২০১৫ সালের সমঝোতায় ফিরে যেতে অবিলম্বে একটি চুক্তি করতে প্রস্তুত রয়েছে। অন্যদিকে ইইউ-এর প্রস্তাবের সঙ্গে আরও কিছু বিষয় যুক্ত করার আগ্রহের কথা জানিয়েছে তেহরান। তবে সোমবার প্রস্তাবটির বিষয়ে ইরানের দেওয়া প্রতিক্রিয়া কী ছিল সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি।