রানির চলে যাওয়া যেভাবে দেখছেন বিশ্ব নেতারা

গ্রেট ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে এসেছে গোটা দুনিয়ায়। ব্রিটেনের ইতিহাসে টানা ৭০ বছর রাজকার্য পরিচালনার সৌভাগ্য অন্য কারও ভাগ্যে জোটেনি। তার মৃত্যুতে শোক জানাচ্ছেন বিশ্ব নেতারা। তারই কিছু অংশ তুলে ধরা হলো।

লিজ ট্রাস, প্রধানমন্ত্রী, যুক্তরাজ্য

৯৬ বছরে বয়সে না ফেরার দেশে চলে গেলেন এলিজাবেথ। এই তো চলতি সপ্তাহেই লিজ ট্রাসকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকার গঠনের আহ্বান জানান রানি। তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন লিজ ট্রাস। এ আবেঘন বিবৃতিতে বলেন, রানির মৃত্যু বিশ্বের জন্য বিশাল এক ধাক্কা। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ সেই পাথর, যার ওপর আধুনিক ব্রিটেন নির্মিত হয়েছিল। তার শাসনামলে আমাদের দেশ বেড়েছে ও সমৃদ্ধ হয়েছে। ব্রিটেন আজ তার কারণেই মহান দেশ।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

শোকাহাত বাইডেন বলেন, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ছিলেন অতুলনীয় মর্যাদার এবং শান্ত প্রকৃতির। যিনি যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বেডরক অ্যালেয়েন্সকে আরও গভীর করেছেন। দুই দেশের সম্পর্ক বিশেষ করে তুলেছিলেন তিনি।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ

রানির প্রয়াণে শ্রদ্ধা জানিয়ছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ। তিনি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে কোমল হৃদয়ের অধিকারীর আখ্যা দিয়ে ফ্রান্সের একজন অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে স্মরণ করেন।

অ্যান্তোনিও গুতেরেস, মহাসচিব, জাতিসংঘ

তিনি বলেন, ব্রিটেনের সবচেয়ে দীর্ঘজীবী ও দীর্ঘতম শাসনকারী রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে বিশ্বজুড়ে তার দয়া, মর্যাদা এবং উৎস্বর্গের জন্য ব্যাপকভাবে প্রশংসিত ছিলেন। এলিজাবেথ জাতিসংঘের একজন ভালো বন্ধু ছিলেন এবং পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ব্যবধানে আমাদের নিউইয়র্ক সদর দফতরে দুই বার গিয়েছিলেন। বিশ্ব তাকে দীর্ঘকাল মনে রাখবে।

নরেন্দ্র মোদি, প্রধানমন্ত্রী, ভারত

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে তার জাতি ও জনগণকে অনুপ্রেরণামূলক নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন। তার মৃত্যুতে ব্যথিত। এই সময়ে তার পরিবার এবং যুক্তরাজ্যের পাশে আছি আমরা।

জাস্টিন ট্রুডো, প্রধানমন্ত্রী, কানাডা

রানির প্রস্থানে গভীর শোক জানিয়েছেন ট্রুডো। কানাডিয়ানদের প্রতি তার সেবা চিরকাল দেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে থাকবে বলে বর্ণনা করেন তিনি।

কিং আব্দুল্লাহ ২, জর্ডান

'একজন আইকনিক নেতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছে জর্ডান। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ সাত দশক ধরে প্রজ্ঞা এবং নীতিগত নেতৃত্বের আলোকবর্তিকা ছিলেন। তিনি জর্ডানের অংশীদার এবং প্রিয় পারিবারিক বন্ধু ছিলেন। এই কঠিন সময়ে আমরা যুক্তরাজ্যের জনগণ ও নেতৃত্বের পাশে আছি'।

ভলোদিমির জেলেনস্কি, প্রেসিডেন্ট, ইউক্রেন

খুবই দুঃখজনক যে আমরা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে ব্রিটেনের রাজ পরিবার, যুক্তরাজ্য এবং কমনওয়েলথের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।

এছাড়া জার্মানির চ্যান্সেলর ওলফ শলৎজ, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবেনিজ, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, পোপ ফ্রান্সিসসহ শোক বার্তা জানিয়েছেন অনেকে।