শক্তিধর দেশগুলোর সমঝোতায় ভরসা নেই সিরিয়ার বিদ্রোহীদের


সিরিয়ার বিদ্রোহীসিরিয়ায় সংঘাতে বিরতি আনার ব্যাপারে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর মধ্যে সমঝোতা হওয়ার পরও আদতে সংঘাত বন্ধ হবে কিনা সে ব্যাপারে সংশয় জানিয়েছে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো।  সিরিয়ার সরকারের সমর্থনে রাশিয়া বোমা হামলা বন্ধ করবে না বলে সন্দেহ জানিয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিদ্রোহীরা।
একইসঙ্গে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য আবারও দাবি জানিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার রাতে জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সিরিয়ায় সংঘাতবিরতি নিশ্চিত করার ব্যাপারে সমঝোতায় পৌঁছায় পরাশক্তিধর দেশগুলো। তবে সে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না সিরিয়ার সরকার ও বিদ্রোহীদের কোনও প্রতিনিধি।এরপর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শক্তিধর দেশগুলোর সংঘাতবিরতি চুক্তি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন বিদ্রোহী নেতারা। ফ্রি সিরিয়ান আর্মির এক মুখপাত্র বলেন, আমরা সবসময় রাশিয়ার ব্যাপারে সন্দিহান।’
আহরার আল শাম গ্রুপের তরফে বলা হয়, সরকারি বোমা হামলা বন্ধ না হলে, বেসামরিকদের নিরাপদে পার হওয়ার জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়া না হলে, বন্দিদের মুক্তি না দেওয়া হলে তারাও লড়াই থামাবেন না।
সাতটি ভিন্ন বিদ্রোহী সংগঠনের জোট ফায়লাক আল শাম জানায়, প্রেসিডেন্ট আসাদকে ক্ষমতা থেকে না সরানো পর্যন্ত লড়াই থামবে না।
এর আগে বিবিসির নিউজ নাইট অনুষ্ঠানে সিরিয়ার অন্যতম বিদ্রোহী অংশের সমন্বয়ক রিয়াদ হিজাব শক্তিধর দেশগুলোর সংঘাতবিরতির সমঝোতাকে বাস্তবতা, বস্তুনিষ্ঠতা ও যৌক্তিকতাবর্জিত বলে উল্লেখ করেন। তার মতে, রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় গতি না এনে সংঘাতবিরতি ঘোষণা বাস্তবসম্মত নয়।

গৃহযুদ্ধের কারণে ঘরহারা হয়েছে সিরিয়ার হাজার হাজার মানুষ

বৃহস্পতিবার মিউনিখের বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেন, শক্তিধর দেশগুলো এমন এক পরিকল্পনায় সম্মতি জানিয়েছে যার মধ্য দিয়ে সিরিয়ার মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। তবে এই সংঘাতবিরতি সুন্নিপন্থী সশস্ত্র সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) ও আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্কিত নুসরা ফ্রন্টের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে না বলে জানান কেরি। বৈঠকের পর যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড বলেন, ‘এই বিরতি তখনই কার্যকর হবে যদি রাশিয়া তার হামলা বন্ধ করে’।

অবশ্য রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়ে দেন, আইএস-কে লক্ষ্য করে তাদের বিমান হামলা চলবে। সূত্র: বিবিসি

/এফইউ/