ঘূর্ণিঝড় গ্যাব্রিয়েল: নিউ জিল্যান্ডে জরুরি অবস্থা

ঘূর্ণিঝড় গ্যাব্রিয়েলের কারণে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে নিউ জিল্যান্ড। দেশটির ইতিহাসে এটি তৃতীয় এ ধরনের সতর্কতা। নর্থল্যান্ড, অকল্যান্ড, তাইরাউহিটি, বে অব প্লেন্টি, ওয়াইকাটো এবং হকস বে অঞ্চলে কার্যকর হয়েছে জরুরি অবস্থা। নিউ জিল্যান্ডের জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী কিয়েরন ম্যাকঅ্যানাল্টি স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে জাতীয় ঘোষণায় সই করেন।  

বিবিসির খবরে বলা হয়, গ্যাব্রিয়েলের প্রভাবে মঙ্গলবার সকালে অন্তত ৩৮ হাজার বাড়ি বিদ্যুৎবিহীন ছিল।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে, হতাহতের শঙ্কায় নিউজিল্যান্ডের বৃহত্তম শহর অকল্যান্ডে অন্তত ৫০টি বাড়ি থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। শহরটিতে স্থাপন করা হয়েছে কয়েক ডজন আশ্রয়কেন্দ্র।

জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী কিয়েরন ম্যাকঅ্যানাল্টি ঝড়টিকে ‘একটি নজিরবিহীন আবহাওয়া ঘটনা’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, জরুরি অবস্থায় তাদের অতিরিক্ত সংস্থান সরবরাহ করা হবে। এ ছাড়া ভ্রমণ সীমাবদ্ধসহ বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে প্রতিক্রিয়া জানাতে সরকারকে আরও ক্ষমতা দিয়েছে জরুরি অবস্থা।’

ঘূর্ণিঝড় গ্যাব্রিয়েল নিউজিল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলে আঘাত হানছে। অকল্যান্ডের পশ্চিম উপকূলে ভূমিধসের হলে এক দমকলকর্মী নিখোঁজ হন,অন্য একজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

দুর্গতদের জন্য ৭৩ লাখ ডলারের ত্রাণ প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্স।

নিউজিল্যান্ডের আবহাওয়া সংস্থা মেটসার্ভিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় হক বে অঞ্চলে ১০০ থেকে ২৬০ মি.মি বৃষ্টিপাত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অগ্রসর হওয়ায় বুধবার নিউ জিল্যান্ডের উত্তর এবং কেন্দ্রীয় অংশে তীব্র বৈরি আবহাওয়া বিরাজ থাকতে পারে।

৫০৯টি ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন অন্তত ১০ হাজার মানুষ। আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটগুলো মঙ্গলবার পুনরায় চালু হবে বলে জানিয়েছে অকল্যান্ড বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে আবহাওয়ার অবস্থার অবনতি হলে তা পরিবর্তন হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় গ্যাব্রিয়েল আঘাত হানার মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে অকল্যান্ড এবং আশেপাশের অঞ্চলে রেকর্ড বৃষ্টিপাত হয়। সে সময় বন্যায় চারজনের মৃত্যু হয়। সূত্র: বিবিসি