সিরিয়ার অবরুদ্ধ ৫টি এলাকায় ত্রাণবাহী ট্রাকের বহর

জাতিসংঘ ও সিরিয়ান আরব রেড ক্রিসেন্টের সহায়তায় অবরুদ্ধ শহরে ত্রাণ পৌঁছানো হচ্ছেসিরিয়ার অবরুদ্ধ শহরগুলোতে অনাহারে থাকা বেসামরিক নাগরিকদের জন্য খাবার ও ওষুধ নিয়ে জাতিসংঘ ও সিরিয়ান আরব রেড ক্রিসেন্টের ত্রাণবহরগুলো পৌঁছাতে শুরু করেছে। এরইমধ্যে ৫টি অবরুদ্ধ এলাকায় ত্রাণবাহী ট্রাকের বহর প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে সিরিয়ার সরকারপক্ষ।
গত সপ্তাহে মিউনিখে এক বৈঠকে সিরিয়ায় ‘সংঘাতবিরতি’ নিশ্চিত করতে শক্তিধর দেশগুলোর মধ্যে সমঝোতা হওয়ার পরই অবরুদ্ধ এলাকাগুলোতে ত্রাণ সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মঙ্গলবার সিরিয়ার বাশার আল আসাদ সরকার সংঘর্ষে অবরুদ্ধ সাতটি এলাকায় জাতিসংঘের ত্রাণ সরবরাহের অনুমোদন দেয়।
মঙ্গলবার রাতে সিরিয়ায় ত্রাণ পাঠানোর ঘোষণা দেন দেশটিতে নিয়োজিত জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি স্ট্যাফান মিসতুরা। আর বুধবার থেকে ত্রাণবাহী ট্রাকগুলো সিরিয়ায় প্রবেশ করতে শুরু করে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানায়, সিরিয়ার দামেস্কে সরকার নিয়ন্ত্রিত মোয়াদামিয়াহ এলাকা এবং বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ফুয়া ও কেফরায়াতে ত্রাণ বহর প্রবেশ করেছে।
তাছাড়া একটি ত্রাণবহর মাদায়া শহরে প্রবেশ করেছে এবং আরেকটি জাবাদানি এলাকার পথে রয়েছে। এ দুটি শহর সরকারি বাহিনী অবরুদ্ধ করে রেখেছে এবং সেখানকার মানুষ অনাহারে ভুগছিলেন।

সিরিয়ার সরকারি কর্তৃপক্ষ জানায়, মাদায়ার বহরটি দামেস্ক থেকে খাবার ও চিকিৎসা সরঞ্জামাদি নিয়ে গেছে। গত মাসে ত্রাণ সরবরাহের পরও এলাকাটির বেশ ক’জন বাসিন্দা অপুষ্টিতে ভুগে মারা গেছেন।

এদিকে সশস্ত্র সুন্নিপন্থী সংগঠন আইএসের নিয়ন্ত্রণে থাকা দেইর এজ জোর এলাকায় আটকা পড়া হাজার হাজার মানুষের জন্য বিমান থেকে ত্রাণ ফেলা হবে কিনা সে ব্যাপারে জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের আলোচনায় বসার কথা রয়েছে।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের হিসেবে সিরিয়ায় গত পাঁচ বছরের গৃহযুদ্ধে নিহত হয়েছেন অন্তত আড়াই লাখ মানুষ। ঘরহারা হয়েছেন এক কোটিরও বেশি নাগরিক। মানবিক সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য অনুযায়ী সিরিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ১০ লাখেরও বেশি মানুষ অবরুদ্ধ রয়েছেন। এরমধ্যে বেশিরভাগ এলাকাই সরকারি বাহিনীর হাতে অবরুদ্ধ রয়েছে।মঙ্গলবার দামেস্কে জাতিসংঘের বিশেষ দূত স্টেফান মিস্তুরার সঙ্গে বৈঠকে মানবিক সহায়তায় সম্মতি দেন সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ আল-মুয়াল্লেম। সূত্র:দ্য গার্ডিয়ান, আলজাজিরা

/এফইউ/