বিদেশে গেলে বাংলাদেশিদের আয় বাড়ে ২০০ শতাংশের বেশি: প্রতিবেদন

বাংলাদেশি অভিবাসীরা বিভিন্ন দেশে গিয়ে কাজ করলে আয় বাড়ে ২০০ শতাংশের বেশি। বিপরীতে দেশের ভেতরে কাজের খোঁজে অন্যত্র পাড়ি জমানোর ফলে এই আয় বাড়ে ২০ শতাংশ। মঙ্গলবার বিশ্বব্যাংক গ্রুপ প্রকাশিত অভিবাসন, শরণার্থী ও সমাজ শীর্ষক বিশ্ব উন্নয়ন প্রতিবেদন ২০২৩-এ এই তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশের অদক্ষ শ্রমিকরা যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসিত হলে আয় বাড়ে সবচেয়ে বেশি, যা ৩০০ শতাংশের বেশি হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র বাদে বাংলাদেশিদের আয় বেশি বাড়ে মালয়েশিয়ায়। দেশটিতে বাংলাদেশিদের আয় বৃদ্ধির হার ২১০ শতাংশ।

উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর মধ্যে কুয়েত যাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের খরচ হয় সবচেয়ে বেশি। কাজের জন্য বাংলাদেশিদের সবচেয়ে পছন্দের দেশ হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদেশে যাওয়ার পর বাংলাদেশিদের যে আয় বাড়ে তা দেশে অর্জনের জন্য আরও অন্তত ৪০ বছর সময় লাগবে।

বাংলাদেশি অদক্ষ শ্রমিকরা বিদেশে কাজে যাওয়ার ফলে তাদের পরিবারের আয় দ্বিগুণ হয়। এছাড়া বিদেশে কয়েক বছর কাজ করার পর দেশে ফেরত আসা বাংলাদেশিদের দুই-তৃতীয়াংশ উদ্যোক্তা বা উপার্জনের নিজস্ব উদ্যোগ নেয়। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী কয়েক দশকে অনেক দেশে কর্মক্ষম প্রাপ্ত বয়স্ক জনগোষ্ঠী দ্রুত হ্রাস পাবে। এর ফলে অভিবাসন অর্থনীতি এবং মানুষের জন্য একটি অনন্য সুযোগ হতে পারে। এতে অভিবাসীদের নিজ দেশ ও গন্তব্য, উভয় দেশের প্রবৃদ্ধিতে তারা ভূমিকা রাখতে পারবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী কর্মক্ষম জনসংখ্যার বয়স বাড়ার কারণে শ্রমিক এবং মেধার জন্য বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতা তীব্র হবে।

অভিবাসী পাঠানো দেশগুলোকে তাদের উন্নয়ন কৌশলে শ্রম অভিবাসনকে একটি সুস্পষ্ট অংশ হিসেবে চিহ্নিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে। অভিবাসী গ্রহণকারী দেশগুলোতে তাদের অন্তর্ভুক্তি সহজ এবং নাগরিকদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টিকারী সামাজিক প্রভাবগুলো মোকাবিলা করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।