বুধবার, তারা এয়ার পরিচালিত টুইন অটার বিমানটি পোখারা থেকে পর্বতারোহণের অঞ্চল জমসমের দিকে যাচ্ছিল। নেপালের বিমান কর্মকর্তাদের একজন জানান,উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে বিমানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। হেলিকপ্টারের মাধ্যমে টহল দিয়ে বিমানটি খোঁজা হচ্ছিল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, সোলি গোপতেভির স্থানীয়রা বিমানটির ঝলসে যাওয়া ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পান। বিমান খুঁজে পাওয়ার খবর নিশ্চিত করে আনন্দ প্রসাদ ফরাসি সংবাদমাধ্যম এএফপিকে বলেন, ‘মিয়াগদির সোলি গোপতেভির এলাকায় পুরোপুরি পুড়ে যাওয়া অবস্থায় বিমানটির ধ্বংসাবশেষ শনাক্ত করা হয়েছে। ধ্বংসাবশেষের আশেপাশে মরদেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা গেছে।’
রাজধানী কাঠমুন্ডু থেকে ২শ কিলোমিটার পশ্চিমে পর্যটন শহর পোখারার অবস্থান। আর সেখান থেকে উত্তরে অবস্থিত জমসন। অনেক মানুষই হিমালয়ে আরোহণের জন্য জমসন পয়েন্টটি ব্যবহার করে থাকেন। তবে এ দুই এলাকার মাঝে কোনও অবতরণ এলাকা নেই।
নেপালের বিমান পরিচালনা প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিক দিয়ে প্রচণ্ড ঘাটতি থাকার রেকর্ড রয়েছে। ২০১৩ সালে ইউরো অঞ্চলে নেপালি এয়ারলাইন্সগুলোর উড্ডয়ন নিষিদ্ধ করা হয়। ১৯৪৯ সাল থেকে নেপালে এ পর্যন্ত ৭০টিরও বেশি বিমান দুর্ঘটনা হয়েছে। আর এসব ঘটনায় নিহত হয়েছে ৭শ জনেরও বেশি মানুষ। সূত্র: বিবিসি, হিন্দুস্তান টাইমস, হিমালয়ান টাইমস
/এফইউ/বিএ/