৬ মাসে ইউরোপের পথে সাগরে ডুবে অন্তত ৩০০ শিশুর মৃত্যু

ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টার সময় চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে কমপক্ষে ২৮৯ শিশু সাগরে মারা গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু সংস্থা- ইউনিসেফ। সংস্থাটি বলছে, এই সংখ্যাটি ২০২২ সালের প্রথমার্ধে রেকর্ড করা সংখ্যার প্রায় দ্বিগুণ। সংঘাত এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শিশুরা ভূমধ্যসাগর দিয়ে বিপজ্জনক যাত্রা করেছে বলেও জানিয়েছে ইউনিসেফ।

ইউনিসেফের কর্মকর্তা ভেরেনা নাউস বলেন, ‘মধ্য ভূমধ্যসাগরে অনেক জাহাজডুবি হয়। এতে সত্যিকারের পরিসংখ্যান পাওয়া কঠিন।’

ইউনিসেফ বলছে, ২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে আনুমানিক ১১ হাজার ৬০০ শিশু ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়েছে। ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় যা প্রায় দ্বিগুণ।

জেনেভায় জাতিসংঘের সদর দফতরে এক সংবাদ সংম্মেলনে নাউস বলেন,  ‘চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ৩ হাজার ৩০০শিশু কেন্দ্রীয় রুট দিয়ে ইউরোপে আসে বলে রেকর্ড করা হয়েছে। এ যাত্রায় তারা এক পর্যায়ে সঙ্গীহীন হয়ে যায়।’

তিনি বলেন, ‘এটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় তিনগুণ বেশি। একা ভ্রমণকারী মেয়েরা বিশেষ করে তাদের ভ্রমণের আগে, চলাকালীন সময় কিংবা পরে সহিংসতার সম্মুখীন হতে পারে।’

ইউনিসেফ বলেছে, লিবিয়া বা তিউনিসিয়া থেকে ইউরোপে নৌকা ভ্রমণের জন্য সাধারণত প্রায় সাত হাজার ডলার খরচ হয়। ইউরোপে শিশুদের সুরক্ষা খোঁজার জন্য নিরাপদ ও আইনি উপায় খুঁজে বের করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছে সংস্থাটি। কারণ পথে তারা আটক, বঞ্চনা, নির্যাতন, পাচার, সহিংসতা, শোষণ এবং ধর্ষণের মুখোমুখি হতে পারে।

নাউস বলেন, ‘এই শিশুদের জানা দরকার যে তারা একা নয়। বিশ্ব নেতাদের অবিলম্বে এসব শিশুদের নিয়ে কাজ করতে হবে।’

সূত্র: আল জাজিরা